মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁসের ‘অ্যাডমিন’ গ্রেপ্তার! মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক গৃহশিক্ষকের কীর্তি অবাক করবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল পান্ডা। মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক গৃহশিক্ষক গ্রেপ্তার হলেন পুলিশের হাতে। ধৃত শিক্ষকের নাম জীবন দাস। সূত্রের খবর, জীবন দাস গৃহশিক্ষকতা করার পাশাপাশি চালাতেন কোচিং সেন্টার। জীবন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মালদহের মানিকচকের গোপালপুরের বালুটোলা থেকে।

জানা গেছে এই গৃহশিক্ষকের বাড়ি বালুটোলা গ্রামেই।পুলিশ সূত্রে খবর, এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় গত শনিবার। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে। তল্লাশি চালানোর পর পুলিশ সাত পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। 

আরোও পড়ুন : বাজেটের কিছুদিনের মধ্যেই RBI-এর তরফে এল বড় ঘোষণা! EMI’র উপর কী প্রভাব পড়তে চলেছে?

এই বছরের জন্য বাতিল করা হয় সাতজনের পরীক্ষা। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই গোপালপুর হাই স্কুলের ছাত্র।জানা গেছে, যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছিল, সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন এই জীবন দাস। জীবন দাসকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। 

আরোও পড়ুন : সুবর্ণ সুযোগ! এবার চাকরি পাবেন এই জেলার মহিলারা, সঙ্গে মোটা মাইনে; আবেদন করুন শিগগিরই

হেফাজতে নিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে এই চক্রের সাথে আর কে বা কারা যুক্ত। প্রশ্নপত্র কীভাবে এই গৃহশিক্ষকের কাছে চলে আসত, এই চক্রের পিছনে বড় কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা এইসব প্রশ্ন এখন তদন্তকারীদের মাথায় ঘুরছে। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে  মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবার প্রত্যেকটি প্রশ্নপত্রের সাথে বিশেষ কিউআর কোড যুক্ত করেছে।

এই কিউআর কোডের মাধ্যমে সহজে চিহ্নিত করা যাচ্ছে অভিযুক্তদের। কিউআরকোড যে যথেষ্ট কার্যকরী হয়েছে তা বলা যায়। কিউআর কোডের সাহায্যে জানা যায়, যে দুদিন মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, তা হয়েছিল মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমে।

madhyamik exam

এনায়েত হাইস্কুলের হেডমাস্টার বদিউজ্জামাল জানান, স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে একটি whatsapp গ্রুপ সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন। ‘MP 2024 QUESTION OUT’ নামের একটি whatsapp গ্রুপ রয়েছে। 151 জন মেম্বার রয়েছে এই গ্রুপে। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ জীবন দাসের সন্ধান পায়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর