বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সারা রাজ্যে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েও চর্চা চলছে। শাসক দলের দুর্নীতিকেই ইস্যু করে ভোট বাক্সে ছাপ রাখতে চাইছে বিজেপি। এই অবস্থায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ শাসক দল। শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে সেকথা আরোও স্পষ্ট ভাবেই বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
আসন্ন ভোটযুদ্ধের আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের পথে নেমে কাজের নির্দেশ দিলেন তিনি। চব্বিশের ভোটযুদ্ধে অভিষেকের স্লোগান, “জমিদারি হঠাও, বাংলা বাঁচাও।” পাশাপাশি, এইবারের ভোট যে প্রতিশোধের নির্বাচন হবে তাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের গলায়। সেখানেই তিনি দলীয় নেতৃত্বকে একবাক্যে বুঝিয়ে দিলেন, এটা ‘প্রতিরোধের ভোট, প্রতিশোধের ভোট।’ তাই পদ্ম শিবিরকে এক্কেবারে নাস্তানাবুদ করতে কেন্দ্রের বঞ্চনাকেই হাতিয়ার করার লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের।
আরোও পড়ুন : উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে এবার বড়সড় ইঙ্গিত হাইকোর্টের! দীর্ঘ ৯ বছর পর মিলছে আশার আলো
এমনকি, কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করে ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তিনি বলেন, “আমি বিধায়কদের অনুরোধ করব আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আট দিন প্রতিটা শিবির অন্তত দুবার করে ভিজিট করবেন। তাতে আট দিনে অন্তত ৩০টা শিবির ভিজিট করতে পারবেন। বিধায়কদের ক্ষেত্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বলব আপনি সমস্ত তৃণমূল বিধায়ককে বিষয়টি জানিয়ে দেবেন।”
আরোও পড়ুন : সন্দেশখালিতে অমানুষিক নির্যাতন! এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ, বড় বয়ান দেবের
সাংসদদের একই অনুরোধ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “আমি সাংসদদের বলব আপনার এলাকার সাতটা বিধানসভার অন্তত পাঁচটা করে শিবির ভিজিট করবেন। আমি লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব প্রত্যেক সাংসদকে এটা জানিয়ে দেবেন।” প্রয়োজনে বিধায়ক এবং সাংসদদের একইসঙ্গে ওই শিবিরে যাওয়ার কথাও বলেন অভিষেক।
বিরোধীদের ঘায়েল করার জন্য একদিকে যেমন ভার্চুয়াল বৈঠকের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনভাবেই সংগঠনকে জোরদার করার জন্যেও জোরকদমে কাজ চালাচ্ছেন। জানা যাচ্ছে যে, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আরও একবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন অভিষেক। কোন ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটপ্রচার হবে, তা পরেই ঠিক করবেন অভিষেক।