বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশকে (India) সামরিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে “ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল” (Defence Acquisitions Council, DAC) ৮৪,৫৬০ কোটি টাকার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে।
কি কি কেনা হবে: মূলত, ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, অত্যাধুনিক যন্ত্র ও অস্ত্রের পাশাপাশি এয়ারক্র্যাফট কেনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন, হেভিওয়েট টর্পেডো, ভারতীয় নৌবাহিনী ও ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ব্যবহারের জন্য মাঝারি-দূরত্বের সামুদ্রিক বিমান, এয়ার ডিফেন্স ট্যাকটিকাল কন্ট্রোল র্যাডার ও মাঝ-আকাশে বিমানে জ্বালানি ভরতে সক্ষম এয়ারক্র্যাফট সহ সফটওয়্যার-নির্ভর রেডিও কেনা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মহলের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের “ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল” অনুমোদন দেওয়ার পর এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পৌঁছে যাবে ক্যাবিনেট কমিটির কাছে। সেখানেই সেটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তারপর ৮৪,৫৬০ কোটি টাকার সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এদিকে, এই কেনাকাটার পক্ষে “আত্মনির্ভর ভারত”-কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্থার থেকে সামগ্রী কেনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ১৫টি বিমান কেনা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা ANI-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, “ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল” ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ৯ টি বিমান কেনার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে। যেগুলি মূলত নজরদারি এবং টহল দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। এর পাশাপাশি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য আরও ৬ টি বিমান কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও “মেড ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পের অধীনে এই ১৫ টি বিমান তৈরি করা হবে। যার জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ২৯,০০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: উঁকি মারছে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন, অ্যাকশনে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, এইদিন থেকে ভাসতে চলেছে বাংলা
পাশাপাশি, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে এয়ার ডিফেন্স ট্যাকটিকাল কন্ট্রোল র্যাডার। সামগ্রিকভাবে এটি ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও মজবুত এবং শক্তিশালী করে তুলবে। এই প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই গুরুত্বপূর্ণ র্যাডারের মাধ্যমে যেকোনো ছোটখাটো, মন্থর গতির এবং তুলনামূলক নীচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বস্তুকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। অর্থাৎ, কোনো জিনিস এই র্যাডারের চোখ এড়িয়ে যাবে না।
আরও পড়ুন: সরফরাজে মুগ্ধ মাহিন্দ্রা! বাবা নওশাদের লড়াইকে সম্মান জানিয়ে Thar উপহার দেওয়ার ইচ্ছে শিল্পপতির
এমতাবস্থায়, বর্তমান সময়ে যখন পাকিস্তান এবং চিনের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে সেই আবহে এরকম এয়ার ডিফেন্স ট্যাকটিকাল কন্ট্রোল র্যাডার যে অত্যন্ত কাজে আসবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল। তবে, চমক এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি জলের তলায় নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুকেকে ধ্বংস করার জন্য কেনা হচ্ছে হেভিওয়েট টর্পেডো। আর এই প্রস্তাবিত সামগ্রীগুলি যখন ভারতের হাতে আসবে, তখন ভারতের তিনটি বাহিনী সহ ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীও আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।