সরফরাজে মুগ্ধ মাহিন্দ্রা! বাবা নওশাদের লড়াইকে সম্মান জানিয়ে Thar উপহার দেওয়ার ইচ্ছে শিল্পপতির

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan)। তাঁর টেস্টে অভিষেক থেকে শুরু করে জার্সির নম্বর সবকিছুই বারংবার উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে, এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত, এবার ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রার (Anand Mahindra) “এক্স” মাধ্যমে একটি পোস্ট সবার নজর কেড়েছে।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আনন্দ মাহিন্দ্রা সরফরাজ খানের বাবা নওশাদ খানকে একটি মাহিন্দ্রা থর উপহার হিসেবে দিতে চেয়েছেন। আর তারপর থেকেই ওই পোস্ট তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজকোটে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে চলা টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সরফরাজ খানের অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সবাইকে মুগ্ধ করেন তিনি।

তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে সরফরাজকে। যদিও, সুযোগ পেয়েই সেটাকে কাজে লাগিয়েছেন এই ব্যাটার। ৬৬ বলে তার ৬২ রানের ইনিংসটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। মূলত, আনন্দ মাহিন্দ্রা BCCI-এর পোস্ট করা একটি ভিডিও X মাধ্যমে পুনরায় শেয়ার করেছেন।

আরও পড়ুন: “হ্যাকারদের দ্রোণাচার্য”! একা হাতে সামলেছেন বড় বড় সাইবার অ্যাটাক, মাত্র ২ বছরেই কামিয়েছেন ৮০০ কোটি

কি জানিয়েছেন মাহিন্দ্রা: অনিল কুম্বলের কাছ থেকে ডেবিউ ক্যাপ পাওয়ার পর সরফরাজ এবং নওশাদ কিভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তা এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে। সরফরাজের এই যাত্রায় বড় ভূমিকা রেখেছেন নওশাদ। তিনি তাঁর কোচও বটে। আর এই ভিডিওটি পোস্ট করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, “সাহস হারাবেন না, এটুকুই! কঠোর পরিশ্রম, সাহস এবং ধৈর্য। একজন বাবার কাছে সন্তানকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এর চেয়ে ভালো গুণ আর কি হতে পারে? একজন বাবা হিসেবে, একজন অনুপ্রেরণা হিসেবে নওশাদ খান যদি থরের উপহার গ্রহণ করেন তাহলে এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের এবং সম্মানের বিষয় হবে।”

আরও পড়ুন: শীতঘুম কাটিয়ে এবার ঝোড়ো ব্যাটিং SBI-এর শেয়ারের! বিনিয়োগকারীরা হলেন মালামাল

সবসময় পাশে থেকেছেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, পশ্চিম রেলের কর্মচারী নওশাদ একটি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তিনি তাঁর ছেলে সরফরাজ ও মুশিরকে ক্রিকেটার বানানোর জন্য কঠোর সংগ্রামও করেছেন। ট্রেনে চকোলেট ও শসা বিক্রি করা থেকে শুরু করে ট্র্যাকপ্যান্ট বিক্রি করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। নওশাদের পক্ষে পুরো বিষয়টি আদৌ সহজ ছিল না। তবে তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, তাঁর ছেলেরা ঠিক সফল হবেন। প্রতিটি সুখে-দুঃখে এবং প্রতিটি পদক্ষেপে ছেলেদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নওশাদ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর