‘রামনবমীতে বোমাবাজি হয়েছে’, স্বীকার করে আদালত রিপোর্ট রাজ্যের, বিরাট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামনবমীর দিন বিক্ষিপ্তভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য। নানান জেলা থেকে এসেছিল অশান্তির খবর। এবার রামনবমীর (Ram Navami) অশান্তি নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি ও মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার স্বতন্ত্রভাবে দু’টি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

রামনবমীর দিন রাজ্যের কিছু এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। সেই আশঙ্কা মিলেও যায়। মুর্শিদাবাদের (Mushidabad) রেজিনগর এলাকা ভালোরকম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেদিন। শান্তিপুর দিয়ে যখন রামনবমীর মিছিল (Ram Navami Rally) যাচ্ছিল তখন বাড়ির ছাদ থেকে কিছু লোক ঢিল ছুঁড়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গেই বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন আহত হন।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে সামাল দিতে পুলিশকে র‍্যাফ নামাতে হয়। এই নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করা হয়। মামলাকারীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে আদালতের তরফ থেকে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়। গতকাল সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য।

আরও পড়ুনঃ সবে মিলেছে কণ্ঠস্বর! এরই মাঝে কালীঘাটের কাকুর জামিন? রাজ্যের কাছে SSKM-র রিপোর্ট তলব

সেই রিপোর্টে রামনবমীর দিন বহরমপুরে অশান্তির কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে বলেও মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তে এখনও অবধি গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাতে আসেনি বলে জানিয়েছে রাজ্য। এই রিপোর্ট দেখার পর হাই কোর্ট জানায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনআইএ এই নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১০ মে।

Calcutta High Court

উল্লেখ্য, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এই অশান্তির ঘটনা নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। সেই সঙ্গেই বহরমপুরে ভোট পিছনোর হুঁশিয়ারিও দেন। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘মানুষ যেখানে ৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারে না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের দরকার নেই। এই ঘটনায় কে প্ররোচনা দিয়েছে, সেটা জানা জরুরি’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর