বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani), গৌতম আদানি (Gautam Adani), আজিম প্রেমজি (Azim Premji) এঁদের নাম তো আমরা সকলেই শুনেছি। যাঁরা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ী হিসেবে বিবেচিত হন। পাশাপাশি, দেশে সমাজসেবামূলক কাজের জন্যও তাঁরা নিয়মিতভাবে বিপুল অর্থ দান করেন। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক দম্পতির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁরা ইতিমধ্যেই হুরুন ইন্ডিয়ার সমাজসেবীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এমনকি, তাঁদের দানের পরিমাণ জানলেও চমকে উঠবেন সকলে।
মূলত, আজ আমরা সুব্রত বাগচী ও সুস্মিতা বাগচীর বিষয়ে আপনাদের জানাবো। এডেলগিভ হুরুন ইন্ডিয়া ফিলানথ্রপিস্ট তালিকা ২০২৩ অনুসারে, সুস্মিতা এবং সুব্রত বাগচী ভারতের শ্রেষ্ঠ সমাজসেবীদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। তাঁরা গত বছর ১১০০০০০০০০ টাকারও বেশি দান করেছেন। তবে, এই দানের পরিমাণটি জেনে সবাই চমকে গেলেও এটি তার আগের বছর শুধুমাত্র সুস্মিতা বাগচীর দান করা ২১৩০০০০০০ টাকার চেয়ে কম। তবে, এই বিপুল দান-ধ্যানের সাথে যুক্ত থাকলেও, সুস্মিতা বাগচী জনসাধারণের নজর থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন।
কটকে জন্ম: উল্লেখ্য যে, কটকে জন্মগ্রহণকারী সুস্মিতা বাগচী বিখ্যাত ওড়িয়া লেখিকা শকুন্তলা পাণ্ডার কন্যা। তিনি তাঁর মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, শুধুমাত্র একজন সুপরিচিত ওড়িয়া লেখিকা হয়ে ওঠেননি বরং তিনি মাসিক মহিলা প্রকাশনী সুচরিতা-র স্রষ্টাও। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে কাজ করেন। মাত্র পনেরো বছর বয়সে সুস্মিতা বাগচীর সঙ্গে তাঁর স্বামী সুব্রত বাগচীর দেখা হয়। এমতাবস্থায়, চার বছর পর দু’জনেই বিয়ে করেন।
মাইন্ডট্রির সহ-প্রতিষ্ঠাতা: সুস্মিতা তাঁর লেখার দক্ষতার মাধ্যমে মায়ের মতো প্রথমবারেই পত্রিকায় জায়গা পান। পাশাপাশি, মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন। মাইন্ডট্রির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি, সুস্মিতা বাগচী একজন লেখিকা হিসেবেও তাঁর চিহ্ন তৈরি করেন। তিনি ইংরেজি ও ওড়িয়া ভাষায় একটি ভ্রমণকাহিনি, ছোটগল্পের কয়েকটি সংকলন এবং পাঁচটি উপন্যাস লিখেছেন।
আরও পড়ুন: তেলে বেগুনে জ্বলছে চীন! ভারতীয়দের জন্য দরজা খুলে দিল তাইওয়ান, কাজের জন্য নেবে লক্ষ লক্ষ মানুষ
এই দম্পতি ২০১৩ সালে ১১০ কোটি টাকা দান করেছিলেন: উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালে, সুস্মিতা এবং সুব্রত বাগচী ও মাইন্ডট্রির অন্যান্য সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও রাধা এবং এন এস পার্থসারথির মতো সমাজসেবীদের সাথে স্বাস্থ্যসেবা সেক্টরকে এগিয়ে নিতে মোট ২১৩ কোটি টাকা ব্যয় করেন। পাশাপাশি, এই দম্পতি ২০২৩ সালে ১১০ কোটি টাকা দান করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চিনা গবেষকদের কারনামায় থরথর করে কাঁপবে বিশ্ব! তৈরি হল “Microwave Weapon”, হবে বড় ধামাকা
ফোর্বসের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন: জানিয়ে রাখি যে, সুস্মিতা বাগচী তাঁর কাজের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১০ সালে আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং এন্টারপ্রিনিয়র অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন এবং ২০১৩ সালে ফোর্বস এশিয়ায় সবচেয়ে ৫০ প্রভাবশালী মহিলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।