হাঁটুর বয়সী শ্রীময়ীর সঙ্গে তৃতীয় বিয়ে! পিঙ্কির থেকে ডিভোর্স পেয়েই চুপিসারে কাজ সারলেন কাঞ্চন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাত্রের বয়স ৫৩, পাত্রী ২৭। নিজের থেকে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে বিয়ে করলেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। কাঞ্চন এই নিয়ে তৃতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এর আগে দুবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কাঞ্চনের। একটি সন্তানও রয়েছে তাঁর। তবে ফের একবার ভালোবাসার জালে জড়িয়ে আপন করে নিলেন শ্রীময়ীকে।

প্রেম দিবসের দিন চুপিসারে কাঞ্চন বিয়ে করলেন শ্রীময়ী চট্টরাজকে। কাঞ্চন-শ্রীময়ী এখন আইনত স্বামী-স্ত্রী। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত গোপনে বিয়ে সেরেছেন এই জুটি। আগামী ৬ই মার্চ কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর সামাজিক বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। কাঞ্চনের ব্যক্তিগত জীবনের মতো তাঁর এই তৃতীয় বিয়েটিও রীতিমতো ফিল্মি।

আরোও পড়ুন : বাংলায় ফের বাড়বে DA, রাজ্য সরকারি কর্মীদের কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা ঢুকবে? দেখুন হিসেব

শ্রীময়ী জানাচ্ছেন, এই বিয়ে সম্পর্কে কাঞ্চন আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সম্পূর্ণভাবে গোপন রেখেছিলেন। শুধু বলেছিলেন, ‘সরস্বতী পুজোয় বাড়িতে খাওয়াদাওয়া হবে’। এই বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি একদিকে যেমন ছিল ভ্যালেন্টাইনস ডে, অন্যদিকে ছিল সরস্বতী পুজো। এই অনুষ্ঠানে কাঞ্চন ও শ্রীময়ীকে দেখা গেছে লাল পোশাকে।

আরোও পড়ুন : আদিবাসীদের উপর অকথ্য অত্যাচার, ৫৩ জনকে গুলি করে হত্যা! হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশ

কাঞ্চন পরেছিলেন লাল শেরওয়ানি, অন্যদিকে শ্রীময়ীকে দেখা গেছে লাল শাড়িতে। শ্রীময়ী বলেন এই দিন কাঞ্চন হাঁটু মুড়ে বসে তাঁকে প্রপোজ করেছেন। কাঞ্চন বলেন, ‘আমাকে বিয়ে করবে?’ এই বিয়ে সম্পর্কে শ্রীময়ীর পরিবারের অনুমতি আগেই নিয়ে নিয়েছিলেন কাঞ্চন। শ্রীময়ীর কাছ থেকে সম্মতি পাওয়ার পর কাঞ্চন ফোন করেন রেজিস্ট্রারকে। তারপর আইনত বিয়ে করেন তাঁরা।

kianchan

লাল রঙের শাড়ি এবং প্ল্যাটিনামের আংটি ছিল এই বিয়ের উপহারে। শ্রীময়ী রেজিস্ট্রির সময় পরেন এই লাল শাড়ি। তারপর আইনত সই-সাবুদ পর্ব মিটলে দুজনের মালা বদল হয়। তবে আগামী ৬ই মার্চ হবে আংটি বদল। গত ১২ বছর ধরে কাঞ্চনের নানান দুঃখ-সংগ্রামের সাথী ছিলেন শ্রীময়ী। জীবনের বাকি বছরগুলো এভাবেই একে অপরের পাশে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন এই জুটি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর