বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের পর এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Workers) খুলল কপাল। রীতিমতো লটারি লাগল বলেই ধরা যায়। লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর সামনে এল। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন খাতে ১৫,৪৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা চলতি অর্থবর্ষের থেকে ২৪ শতাংশ বেশি। আর এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে তাহলে কি খুব শীঘ্রই সপ্তম বেতন কমিশন (7th Pay Commission) কার্যকর করা হবে? হঠাৎ কেন এতটা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হল?
এখানে কথা হচ্ছে কর্ণাটক রাজ্যের। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে রাজ্যের কাছে সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে। একবার রিপোর্ট জমা হলে তারপরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি কর্ণাটকের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (অর্থ) এল আথিক জানিয়েছেন সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে গেলে বাড়তি ১৫,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন রয়েছে। ওদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ১৫,৪৩১ কোটি। অর্থাৎ ১৫,০০০ কোটির কিছুটা বেশি। এর থেকেই সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও কবে থেকে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হবে সেই নিয়ে এখনও নির্দিষ্টভাবে কিছু মন্তব্য করেননি কর্ণাটকের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (অর্থ)। তবে সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় আনলে কর্ণাটক সরকারের খরচ একলাফে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। যার জেরে আগামী কয়েক বছরে রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারকে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। নিজেই এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কর্ণাটকের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (অর্থ)।
আরও পড়ুন: ৫০০, ১০০০ নয়! এবার মহিলাদের ২৫ হাজার টাকা দেবেন মমতা, কাদের খুলবে কপাল? কিভাবে মিলবে?
এদিকে লোকসভা ভোটের আগেই যাতে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হয় এবং বর্ধিত হারে বেতন প্রদান করা হয় সেই দাবি তুলছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি পুরনো পেনশন প্রকল্প (ওপিএস) ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেও বহুদিন থেকে সরব কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা। এবার সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।