বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামনবমী (Ram Navami) হিংসা মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ (National Investigation Agency NIA)। হিংসার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত আর তারপরই গ্রেফতার। প্রায় ১ বছর আগে রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় উত্তর দিনাজপুর জেলার ১৬ জনকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় হিংসার ঘটনাতেই তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, গত বছর ৩০ মার্চ ডালখোলার তাজামুল চকে গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কাছে একজোটে ১৬২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এরপর ২৭ এপ্রিল এই মামলার তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র ওপর দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই শুরু হয় তদন্ত। একজোটে ৬টি মামলার তদন্ত শুরু করে এনআইএ।
এনআইএ সূত্রে খবর, ওই হিংসার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে এই ১৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতারি। ধৃতদের বিরুদ্ধে হিংসার ষড়যন্ত্র এবং হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ যুক্ত করা করেছে। গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
কী হয়েছিল? দিনটা ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ। রামনবমীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের বেশ কিছু এলাকা। হিংসার ঘটনাকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। আদালতে দায়ের হয় মামলা। এরপর সেই বছরই ২৭ এপ্রিল এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন পড়বে বাজ! সাথে ঝড়-বৃষ্টির ডবল অ্যাকশন, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় অ্যালার্ট: আবহাওয়ার খবর
সেই সময় হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এনআইএর নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এনআইএ তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। যদিও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ১৯ মে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে রাজ্য। এর পরেই তদন্ত শুরু করে এনআইএ। তারপর প্রায় একবছর হতে চলল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এসে রামনবমীর হিংসা-অশান্তির মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।