বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যতই সময় গড়াচ্ছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শাহজাহানের একের পর এক কেলেঙ্কারির খবর সামনে আসছে। গত জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে এই শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। প্ৰতিনিয়ত তার গ্রেফতারের দাবি তুলে যখন রাস্তায় নামছে বিরোধী থেকে শুরু করে সন্দেশখালির মানুষজন, সেই সময় শাহজাহানের ‘সঙ্গী’ ইডির স্ক্যানারে। সোমবারই শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তকে তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorates)।
সূত্রের খবর, মূলত চিংড়ি মাছের আমদানি রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন অরুণবাবু। শাহজাহানের সাথে যোগসূত্র নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলেও বয়সজনিত কারণে ইডি দফতরে আসতে পারেননি বিরাটির এই ব্যবসায়ী। পরিবর্তে কাগজপত্র নিয়ে তার মেয়ে ইডি দফতরে যান। সেগুলি মূলত লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যই ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২ ঘণ্টার মতো ইডি দফতরে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে পুলিশের খাতায় ‘ফেরার’ সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। আমদানি-রফতানি ব্যবসা সংক্রান্ত মামলাতে হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ মোট ছ’জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই অরুণ সেনগুপ্তর বাড়িতেও আগেই হানা দিয়েছিল ইডি।
সূত্রের খবর, একাধিক জায়গায় মাছের ভেড়ি, ফিশ প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে অরুনবাবুর। আমদানি রফতানি সংক্রান্ত একটি সংস্থাও রয়েছে তার নামে। তবে বর্তমানে বছর সত্তরের ওই ব্যবসায়ী নিজের ব্যবসার কাজে তেমন সময় দিতে পারেন না। শেখ শাহজাহানের সূত্র ধরেই সোমবার তাকে ইডি দফতরে
ডেকে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগে ন্যাজাট থানায় শেখ শাহজাহানের নামে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই ইসিআইআর করে তদন্তে নেমেছে ইডি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে শাহজাহান এবং তার সঙ্গী শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে ভেড়ি বানানো, মুরগির খামার বানানোর মতো বহু অভিযোগ রয়েছে। আমদানি-রফতানির ব্যবসায় জমি-ভেড়ির টাকার বিনিয়োগ, সীমান্ত পার করে মাছ বা অন্যান্য সামগ্রী রফতানি করা হত কি না, সেই সমস্ত বিষয়ে তথ্য পেতেই এবার তদন্ত নেমেছে ইডি।