বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর প্রয়াত হলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিতর্কিত পার্টির সাংসদ শফিকুর রহমান বারক (Shafiqur Rehman Barq)। উত্তর প্রদেশের সাবল জেলার সাংসদ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে যত না প্রশংসা কুড়িয়েছেন তার থেকে বহু বেশি বিতর্কে জড়িয়েছেন। এই যেমন তার ‘বন্দে ভারত ইসলাম বিরুদ্ধ’ মন্তব্যটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
লোকসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে, শফিকুর রহমান বারক বলেন, ’জাহান তক বন্দে মাতরম কা তালুক হ্যায়, এটি ইসলাম বিরুদ্ধ এবং আমরা এটি অনুসরণ করতে পারি না।’ তার এই বিবৃতির পর সংসদে বেশ কয়েকজন নেতা “বন্দে মাতরম” এবং “জয় শ্রী রাম” স্লোগান দিয়েছিলেন। তবে কেবল শফিকুর রহমানই নয়, ‘বন্দে মাতরম’-র বিরোধীতা করেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও।
তাকে লোকসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য ডাকার সময় ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল। আসাদুদ্দিন ওয়াইসি তাৎক্ষণিকভাবে তা ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘জয় ভীম, জয় মীম, তাকবীর আল্লাহু আকবর, জয় হিন্দ।’ তবে শফিকুর রহমানের আরও এমন একাধিক মন্তব্য আছে যার জেরে আম জনতা ‘ভারত বিদ্বেষী’ তকমা দিয়েছিল তাকে।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাথে তালিবানের তুলনা! প্রয়াত কোরআনকে পাঠ্যক্রমে যোগ করতে চাওয়া বিতর্কিত সাংসদ
শফিকুর তার জীবদ্দশায়, ভারতকে ইসলামীকরণের প্রচেষ্টার প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জোর গলায় বলেন, ভারত কখনোই ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ছিল না এবং হবেও না এবং তিনি দাবি করেছিল যে ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম। এছাড়াও গত বছর শফিকুর এনসিআরটির সিলেবাসে ‘কোরান’ অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি তুলেছিলেন। এবং এই ঘটনার এক মাস আগে তিনি বলেছিলেন, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।
আরও পড়ুন : ‘মধ্যবিত্তের জীবনে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে’, নির্বাচনের আগে বড় চমক মোদীর, কী হতে চলেছে?
এখানেই শেষ নয়, শফিকুর রহমানের এমন একাধিক মন্তব্য আছে যাতে গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গেছিল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাথে কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠনের তুলনা করার জন্য মামলা অবধি দায়ের হয়েছিল শফিকুরের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভের জন্যও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। এই সমাজবাদী পার্টির প্রয়াত নেতার মতে, তালেবান নাকি অনেক বেশি সভ্য।