বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি ইস্যুতে ক্রমশ চড়ছে উত্তাপ। দুদিন আগেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ৬ সদস্যকে (Delhi fact finding committee Members Arrested)। টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি। গ্রেফতার করা হয় তাকেও। টেনেহিঁচড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। এই ইস্যুর জলই এবার গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে।
মামলা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এদিন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “সন্দেশখালিতে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের অবাধে যেতে দিচ্ছে পুলিশ, তবে বাকিদের আটকানো হচ্ছে।”
এ কথা শুনে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি চন্দ বলেন, “সেটাই তো স্বাভাবিক যে শাসক দলের নেতাদের রাজ্য পুলিশ আটকাবে না। তাদের আটকানো হবে না। আপনার দল ক্ষমতায় এলে তারাও একই কাজ করবে।”
কী ঘটেছিল? মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয় দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম
তবে রাস্তায় ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এই যুক্তি দেখিয়ে গন্তব্যের ৫২ কিমি আগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশি বাধায় পাল্টা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপরই টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ওই সদস্যদের।
ওই ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক।
আরও পড়ুন: শাহজাহানের সূত্র ধরে ED দফতরে হাজির রহস্যময়ী রমণী! মহিলার বাবার পরিচয় মাথা ঘুরিয়ে দেবে
পুলিশ বাধা দেওয়ায় ওই টিমের সদস্যরা জানান, তারা কোনও রকম আইন ভাঙবেনা না। যে এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন ওই গ্রামে ঢুকবেন। তবে তাদের দাবি মানেনি পুলিশ। মাঝ রাস্তা থেকেই ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।