বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে শিরোনামে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষের গলায়। সরাসরি দলের আর এক নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন তিনি। এবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের সভায় ডাক না পেয়ে ‘ক্ষোভ’ উগড়ে দিলেন সদ্য প্রাক্তন জেলা যুব সভাপতি তথা বর্তমান রাজ্য সম্পাদক দেবব্রত সাহা (Debabrata Saha)।
শবিবার সিউড়ি শহর এবং সিউড়ি ২ ব্লকে সভা করবেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তার আগেই ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করেন দেবব্রত সাহা। শুক্রবার রাতে তিনি লেখেন, তাঁকে দেখতে খারাপ বলে ডাকা হয়নি। এখানে শেষ নয়, তৃণমূলের (TMC) এই যুব নেতার পোস্টে লাইক করেছেন তৃণমূলের পাড়শুন্ডি এবং খয়রাশোল এলাকার অঞ্চল সভাপতিরা। এই প্রসঙ্গে দেবব্রত সাহার সঙ্গে ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গতকাল এই যুব তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমায় দেখতে খারাপ তাই ডাকেনি। দল জমিদারি হটানোর স্লোগান দিচ্ছে। আর কেউ কেউ দলটাকে জমিদারি ভাবছে। পার্টির একটা কাঠামো আছে। সেটা সবার মেনে চলা উচিত’। এখানেই না থেমে দেবব্রত লেখেন, নিজেদের স্বার্থের জন্য দুকে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিপদ আসন্ন।
সিউড়ি কলেজের রসায়ন বিভাগে অধ্যাপনা করেন দেবব্রত। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ছাত্রাবস্থায় এসএফআইয়ের কলেজ ইউনিটের সদস্য ছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের অনুরোধে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়। নির্বাচনে জিততে না পারলেও জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ব্রেকফাস্টে ব্রেড-বাটার, লাঞ্চে চাই গরম মাটন! হেফাজতে শাহজাহানের ‘আবদার’ মেটাতে ভিরমি খাচ্ছে CID
অনুব্রত মণ্ডলের মুখ চেয়ে দেবব্রতকে তৃণমূল মেনে নিলেও, বীরভূমের (Birbhum) ‘বোলপুর লবি’ তাঁকে কখনওই বিশেষ পাত্তা দেয়নি বলে জানা যায়। অনুব্রত মণ্ডল শ্রীঘরে যাওয়ার পর থেকে আরও বেশি কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। মাস দুয়েক আগে দেবব্রতকে সরিয়ে দিয়ে রামপুরহাটের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে জেলা যুবর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে দেবব্রতকে দেওয়া হয় রাজ্য যুবর পদ। আজ সায়নী ঘোষের সভাতেও ডাকা হয়নি তাঁকে। এরপরেই সমাজমাধ্যমে বিস্ফোরক পোস্ট করেন এই তৃণমূল নেতা।