বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে জেলবন্দি। গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। তিহার জেলের চার দেওয়ার মধ্যেই কাটছে জীবন। এবার কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব করলো সিবিআই। বুধরবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছিল।
অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মালিক মলয়কে (Malay Pit) অতীতেও একাধিকবার ডাকা হয়েছিল। তবে তিনি হাজিরা এডিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে বুধবার সিবিআই দফতরে (Nizam Palace) উপস্থিত হন তিনি। এর আগে গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছিল মলয়ের। তখন সিবিআইয়ের (CBI) জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন।
মলয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় তিনি মিডলম্যানের কাজ করেছেন। একাধিক বিএড কলেজের সঙ্গে তিনি যুক্ত বলে খবর। এর ভিত্তিতেই আজ জেরা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সিবিআইয়ের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বোলপুরের এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য রয়েছে তাঁদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ বিরাট ধাক্কা! আদালতের এক রায়েই কেষ্টর জীবনে নেমে এল গভীর অন্ধকার…
বর্তমানে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্টর সঙ্গে মলয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকেই জানেন। শোনা যায়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) যে গাড়িতে চেপে ঘুরতেন, সেটিও এই ব্যবসায়ীর নামেই ছিল। এই বিষয়গুলিও সিবিআইয়ের নজরে আছে বলে খবর। সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার বড় ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ নামডাক আছে মলয়ের। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে প্রচুর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাতেও লাগাতার লক্ষ্মীলাভ করছেন। বর্তমানে মলয়ের অধীনে একাধিক বিদ্যালয়, বিএড কলেজ, আইটিআই, ইন্টারন্যাশানাল স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। রাজ্যের বাইরেও তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে বলে খবর। অভিযোগ, তৃণমূল জমানাতেই মলয়ের এই উন্নতি।