বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যোগদান মেলা অতীত! একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে অগুনতি নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে (BJP)। তবে ভোট শেষ হতেই বদলে যায় চিত্র। দলে দলে শুরু হয় বিজেপি ত্যাগ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই একই ‘ভুল’ করতে নারাজ পদ্ম-শিবির। বুধবার তাপস রায়ের বিজেপিতে যোগদানের পর কার্যত এই বার্তাই দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এদিক সুকান্তবাবু স্পষ্ট বলেন, ‘আমরা দরজা খুলে দিলেই তৃণমূল দল শেষ হয়ে যাবে এমন কিছু করতে উৎসাহী নই’। বিজেপিতে যোগদানে ইচ্ছুক এমন নেতাদের মধ্যে যাঁরা দীর্ঘদিন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রেখেছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার অভিযোগ নেই, তাঁদের জন্য দলের দরজা খুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নীচুতলার কর্মীদের নিতে বেশি আগ্রহী বলেও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্তবাবুর কথায়, ‘নীচুতলার কর্মীদের নিতে আগ্রহী, বেশি আগ্রহী। নেতা নিতে ততটা আগ্রহী নই’।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) হাত ধরে তৃণমূলের (TMC) বহু নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। স্থানে স্থানে যোগদান মেলার নামে যেমন অগুনতি মানুষ গেরুয়া পতাকা হাতে তুলেছিলেন, তেমনই বিমানে করে দিল্লি নিয়ে গিয়েও বহু তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের দলে যোগদান করানো হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ‘তৈরি থাকুন, স্টুডেন্টদেরই নিয়ে যাব…’, এবার পড়ুয়াদের নিয়ে কোথায় যাবেন মমতা?
তবে ভোট মিটতেই বদলাতে শুরু করে চিত্র। ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপি ত্যাগ শুরু হয়। যে কারণে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তবে সবাইকে যোগ করিয়ে যে বিজেপিকে হাত কামড়াতে হয়েছে তা কিন্তু নয়। বেশ কিছু নেতা যোগ দেওয়ায় দলের লাভও হয়েছে। যেমন, শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত, শঙ্কর ঘোষ প্রমুখ।
তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবার তৃণমূল থেকে আসা সকল নেতা-কর্মীর জন্য কিন্তু বিজেপির দরজা খোলা হবে না। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, ভাবমূর্তি পরিষ্কার, তাঁদের হাতেই গেরুয়া পতাকা তুলে দেওয়া হবে। প্রাক্তনের থেকে শিক্ষা নিয়েই কি তাহলে নেতাদের যোগদানের বিষয়ে অতি সাবধানী সুকান্তবাবু?