বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার সংবাদ শিরোনামে বাংলার হটকেক সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। বৃহস্পতিবার সাত সকালে দ্বীপাঞ্চলে পৌঁছে গেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। মিডিয়া সূত্রে খবর, গোটা এলাকাজুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক অভিযোগের মধ্যেই একটি মামলার তদন্ত করতে সন্দেশখালি পৌঁছেছে ইডির কর্তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোটা সন্দেশখালি মুড়ে ফেলা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। বিশেষ করে ইডির নজর রয়েছে এলাকার মাছ ব্যবসায়ীদের উপর। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী নজরুল মোল্লার বাড়িতেও চলছে তল্লাশি।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, শাহজাহানের পরিচয় কেবল তৃণমূল নেতা ছিলনা। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন। এছাড়াও মাছের ভেড়ির ব্যবসাতেও বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি। এই ব্যবসা সংক্রান্ত এক মামলায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পূর্বেও হানা দিয়েছিল ইডি। আর এবার রিন্টু মোল্লা, আইনুর মোল্লা, জামালউদ্দিন মোল্লা নামক তিন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : বজ্রবিদ্যুৎ সহ নাগাড়ে বৃষ্টি ১১ জেলায়, কী অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের? IMD-র ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই শাহজাহানের সূত্র ধরে মোট ছ’টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি কর্তারা। খবর মেলে বামফ্রন্ট জামানায় স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের হাত ধরেই নাকি কাঠ ও গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত হন শাহজাহান। অভিযোগ ওঠে, ধীরে ধীরে নাকি হিউম্যান ট্রাফিকিং-এও হাত পাঠিয়েছিলেন তিনি। এইসব নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে বাম্পার খবর, বেতনক্রম বাড়ছে ৪০%, উপকৃত হবেন পশ্চিমবঙ্গের এই কর্মীরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে যে তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চলছে তারমধ্যে রিন্টু শেখ হলেন শাহজাহানের মাছের ব্যবসার ম্যানেজারের শ্যালক। এবং বাকি দু’জনের সাথে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠতা বহু পুরনো। এদের প্রত্যেকের বাড়িতেই চলছে চিরুনী অভিযান। অভিযোগ, মাছের ব্যবসায় দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।