বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অধিকারী গড়ে তৃণমূলের তুরুপের তাস যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। টিকিট পেতেই ঘুরে ঘুরে প্রচারপর্ব শুরু করে দিয়েছেন জোড়াফুল (TMC) প্রার্থী। বুধবার তমলুকের বর্গভীমা মন্দির এবং শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিকবার তমলুক (Tamluk) এসেছেন দেবাংশু। ভূমিপুত্র না হলেও তাই জায়গাটা তাঁর চেনা । মা বর্গভীমাই সব বিচার করবেন বলে জানান তরুণ রাজনীতিক। পাশাপাশি তমলুক কেন্দ্র (Tamluk Lok Sabha Constituency) থেকে জয়ী হলে তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কী কী কাজ করতে চান সেটাও জানান দেবাংশু।
প্রাচীন বর্গভীমা মন্দির এবং শিব মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তৃণমূল নেতা। দুপুরে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংগঠনিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ভোটে জিতলে সাধারণ মানুষের জন্য কী কী করতে চান? সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেকথা জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ আর বিকল্প নেই…! ‘গোটা নিয়োগ বাতিল করা উচিত’! নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট পর্যবেক্ষণ আদালতের
দেবাংশু বলেন, তমলুক কেন্দ্র থেকে জয়ী হলে সাধারণ মানুষের জন্য টোল ফ্রি নম্বরের ব্যবস্থা করবেন। এলাকার মানুষদের সমস্যা শোনা এবং তা সমাধান করা হবে এর মাধ্যমে। সেই সঙ্গেই তমলুকে এইমস হাসপাতাল (AIIMS Hospital) খোলার বিষয়েও সংসদে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন জোড়াফুল প্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তমলুক তথা পূর্ব মেদিনীপুরে যে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, রেলের উন্নয়নের জন্য আমাদের হাত শক্ত করতে হবে বলে জানান দেবাংশু।
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফ থেকে দেবাংশু দাঁড় করানো হলেও, বিজেপি (BJP) এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে দেবাংশু বলেন, ‘যেই প্রার্থী হোক আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমাদের নেত্রী যেভাবে উন্নয়ন করেছেন, তাতে সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে আছেন’।
এছাড়াও এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপিকেও নিশানা করেন তৃণমূলের এই যুব নেতা। দেবাংশু বলেন, ‘বিজেপি ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলে চলেছে। আমরাও ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই। তবে আমাদের রাস্তা আলাদা। রাজ্যেও দিদি, কেন্দ্রেও দিদির মতো সরকার আসুক। তাহলেই বাংলার উন্নয়ন হবে। তাহলেই বাংলার মতো দেশের উন্নয়ন হবে’।