বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘শি ইয়ান ৬’-এর পর ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’। কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার তার দেশে চীনা (China) জাহাজকে নোঙর করার অনুমতি দেয়নি। সেই ঘটনার কয়েক মাস যেতে না যেতেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলল দক্ষিণের দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। সদ্যই রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার জানিয়েছে, বিদেশী গবেষণা জাহাজকে তাদের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হবে।
সম্প্রতি একটি জার্মান জাহাজকে নিজেদের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর এই ঘোষণার পরপরই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে বেজিং। ক্ষুব্ধ চিনে অসন্তোও জারি করেছে। কৈফিয়ত চেয়ে বার্তাও পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কার দরবারে। যদিও শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, গবেষণা জাহাজ নয়, মূলত পণ্যবাহী জাহাজগুলিকেই লঙ্কার কিনারায় নোঙর করতে দেওয়া হবে।
আসলে মাসকয়েক আগেই কলম্বো জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার বন্দর তো বটেই এমনকি তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (ইইজ়েড)-য় ঢুকতে পারবেনা চিনের গবেষণা জাহাজ। অফশোর গবেষণা জাহাজের উপর টানা এক বছরের জন্য লাগানো হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত যে নয়া দিল্লির কারণেই সেকথা বলাই বাহুল্য। যে কারণে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ নিয়ে কলম্বোর এই অবস্থানকে ভারতের ‘কূটনৈতিক জয়’ বলেই মনে করছিল সকলে।
আরও পড়ুন : ‘শূন্যপদের চেয়ে নিয়োগ বেশি’, বাতিল হবে সব? SSC মামলার শুনানি শেষে বিশেষ ইঙ্গিত বিচারপতির
এই ঘটনার কয়েক মাস পরেই ইউ টার্ন নিল শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি একটি জার্মান জাহাজকে নিজেদের বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এখানে বলে রাখা ভালো, পূর্বে ২০২২ সালের অগাস্টে একটা চীনা জাহাজ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করে। এরপর ২০২৩ সালের অক্টবরেও একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কায় নোঙর করে। উল্লেখ্য, সেইসময় নিরাপত্তার কথা ভেবেই অফশোর জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাতে জোর দেয় নয়া দিল্লি।