বাংলা হান্ট ডেস্ক : জেল থেকেই সরকার চালাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা AAP প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভোটের মুখে কেজরির গ্রেফতারি যে আপ নেতৃত্বকে বড় সমস্যায় ফেলেছে সেকথা বলাই বাহুল্য। তার মাঝেই আম আদমি পার্টিকে ফের একবার অস্বস্তিতে ফেলল খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস-এর নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় একশো কোটির বিনিময়ে এক খলিস্তানি জঙ্গিকে দিল্লির জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল AAP নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতেই তাকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা করেছিল আপ নেতৃত্ব। এমন পরিস্থিতিতে গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনের এই দাবি রীতিমত বোমা ফাটিয়েছে যেন। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে, আপ নেতৃত্বের সমস্ত পরিকল্পনাকে নষ্ট করতে পন্নুনের এই দাবি যথেষ্ট। যদিও আপ নেতৃত্ব জানিয়েছে, পন্নুনের এই দাবি নাকি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতেই এক অভিনব কায়দায় প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা করে দিল্লির আপ নেতৃত্ব। দলের দাবি, জেলবন্দি কেজরিওয়াল বিজেপির জন্য আরও বিপজ্জনক। এই বিষয়টাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সহানুভূতির ঝড় উঠবে ভোটবাক্সে। ইতিমধ্যেই এই ইস্যু নিয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে কেজরিওয়ালের অনুগামীরা।
আরও পড়ুন : কাকভোরেই ছিন্নভিন্ন পাকিস্তান, টুর্বুট বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় নিহত প্রায় ১২ পাক আর্মি
এইদিন কেজরির গ্রেফতারির পর মুখ খুলেছেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ইন্ডিয়া জোট রামলীলা ময়দানে জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেজরীওয়ালকে ভয় পাচ্ছেন। জেলে বন্দি হওয়ার পরে কেজরীওয়াল আরও বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন জেল থেকেই কাজ করবেন। তাতে অনেক বেশি লোক কেজরীওয়ালের কথা শুনবেন এবং তাঁকে সমর্থন করবেন।’
আরও পড়ুন : খড়গপুর-শিলিগুড়ির দূরত্ব কমবে ১১২ কিমি, সময়ও বাঁচবে ৭ ঘন্টা! ১০২৪৭ কোটির প্রোজেক্ট NHAI-র
যদিও আপ নেতৃত্বের এই সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলেছে শিখস ফর জাস্টিস। এইদিন গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন একটা ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালে দিল্লি বিষ্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া দেবেন্দ্র পাল সিংহ ভুল্লারকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল AAP। যার বিনিময়ে গত আট বছরে প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৩৪ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য নিয়েছে AAP। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে বিজেপি। কারণ বিগত বহুদিন ধরেই অরবিন্দের বিরুদ্ধে খলিস্তানি সংগঠনকে মদত যোগানোর অভিযোগ তুলে আসছিল গেরুয়া শিবির। আর এবার কার্যত সেই দাবিতেই সিলমোহর পড়ল।