সৌগত মন্ডল, রামপুরহাট-বীরভূম : ঘূর্ণিঝড় থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য আগাম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে, আগাম মঞ্জুর করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে অর্থ। শুধু অর্থই নয় পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে তৈরি নৌসেনা থেকে যাবতীয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। তা সত্ত্বেও অনেকেই ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রাখেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে। কারণ বিশ্বাস, ‘ভগবানই শেষ আশ্রয়’। সেই বিশ্বাস থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা থেকে রক্ষার আর্জি জানিয়ে মা তারার শরণাপন্ন মন্দির কমিটির সেবায়েতরা।
ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে নানান সর্তকতা জারি করা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে। স্কুল-কলেজের ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে সমুদ্রতট এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা মায়ের শরণাপন্ন তারাপীঠের সেবাইতদের একাংশ। মূল উদ্দেশ্য সকলের রক্ষা কামনা করা। আজ বৃহস্পতিবার মায়ের কাছে প্রার্থনা করে মাকে পড়ালেন ‘লাল জবার মালা’। ফনা তুলে এগিয়ে আসা ফনির দুর্যোগে ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মা তারার কাছে আর্জি জানান তারা।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সেবাইত তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আয়লার জেড়ে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন আমরা দেখেছি। সেই আয়লার থেকেও ক্ষমতাসম্পন্ন বলা হচ্ছে ঘুর্ণীঝড় ফনিকে। প্রবল ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার উপায় কি! একমাত্র ভগবানই শেষ আশ্রয়।
তিনিই পারেন আমাদের রক্ষা করতে। এই বিশ্বাস থেকেই তারাপীঠের সেবাইতরা আজ তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়েছি। মা যেন দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত যেন না হতে হয় মানুষকে এই কামনা জানিয়েছি আমরা।”