বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Monda)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেষ্ট-হীন বীরভূমে তৃণমূলকে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই আবহে এবার অনুব্রতর সমর্থনে এগিয়ে এলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীদের মতো অনুব্রতও যদি বিজেপিতে (BJP) যেতেন তাহলে তিনি ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
বুধবার বীরভূমে (Birbhum) পৌঁছন অভিষেক। স্থানীয় একটি হোটেলে বীরভূমের দলীয় নেতৃত্বের ১৭৩ জন সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর ‘কেষ্ট গড়ে’ দাঁড়িয়েই তাঁর হয়ে সুর চড়ান তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী, নারায়ণ রানে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অনুব্রতও যদি যেতেন, তাহলে তিনিও ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেতেন’।
এখানেই না থেমে অভিষেক দাবি করেন, অনুব্রত জেলবন্দি হলেও বন্ধ হয়নি গরু পাচার। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার অনুপস্থিতিতেও কীভাবে গরু পাচার চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘গরু পাচার মামলায় অনুব্রত জেলবন্দি। ১০ দিন আগে মেমারিতে উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে গরু আসছিল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সেটা ধরেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাই কোর্টের তরফ থেকে বিজেপির কাউকে তলব করা হল না’।
আরও পড়ুনঃ নদিয়ায় খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী! কাঠগড়ায় CPM ও কংগ্রেস, শোরগোল রাজ্যে
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার সরকারে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি নেই একথা স্মরণ করিয়ে অভিষেক বলেন, ‘ওই দুই রাজ্যের সরকারে তো তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি নেই। উত্তরপ্রদেশে এককভাবে বিজেপি সরকার আছে আর বিহারে জোটে আছে। যোগী কিংবা নীতিশকে কতবার ডাকা হয়েছে? এটাই হল বিজেপির ওয়াশিং মেশিন’।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ মে বীরভূম এবং বোলপুরে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে গতকাল স্থানীয় দলীয় নেতৃত্বকে কার্যত কড়া বার্তা দেন অভিষেক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, লোকসভায় যদি বাজে ফলাফল হয় তাহলে সেই ওয়ার্ডের সভাপতি এবং কাউন্সিরলরকে সরে যেতে হবে। অন্যদিকে পুর এলাকায় খারাপ ফল হলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সহ সভাপতিকে সরতে হবে। জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
অনুব্রত এবার না থাকলেও বীরভূমে তৃণমূলের ভালো ফলাফল হবে বলে মনে করছেন অভিষেক। সাংগঠনিকভাবে জোড়াফুল শিবির সেখানে শক্তিশালী হচ্ছে। তাই উনিশের ভোটের চেয়ে এবার ভালো রেজাল্ট হবে বলে মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে বীরভূমের জোড়াফুল প্রার্থী শতাব্দী গতকালের বৈঠক শেষে বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ভালো হলে মিলবে পুরস্কার, আর খারাপ হলে থাকবে তিরস্কার এবং বহিষ্কার।