বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শিরোনামে উঠে এল ভোট পরবর্তী হিংসা কাণ্ড (Post Poll Violence)। শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনায় রাজ্যের প্রায় ৫০ জনকে নোটিশ ধরাতে পারে সিবিআই (CBI)। শওকত মোল্লা, পরেশ পাল, অভিজিৎ সিংয়ের মতো নেতাদের নামও সেই তালিকায় থাকতে পারে বলে খবর। এখানেই শেষ নয়! নির্বাচন কমিশনও বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার অতীত খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে খবর।
বুধবার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর থেকে জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে যেখানে যতগুলি হিংসার ঘটনা সামনে এসেছিল, সেই বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে যে সকল বুথে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলি এজেন্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছিল কিংবা যেখানে ঠিকঠাকভাবে ভোটগ্রহণ হয়নি সেই বুথগুলির নামও চাওয়া হয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিক্ষিপ্তভাবে হিংসার চিত্র ফুটে উঠেছিল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়, সেই সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দিকটি কমিশনের অধীন ছিল। পরবর্তীকালে রাজ্য পুলিশ (State Police) এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তবে বিরোধীদের তরফ থেকে সিবিআই (Central Bureau of Investigation) তদন্তের দাবি করা হয়। সেই দাবি মেনে নেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ ‘হাতের রক্ত মোছেনি’! শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে ফের সরব, BJP প্রার্থী দেবাশিস ধরকে টার্গেট মমতার
রাজ্য সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমো কোর্টের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি। হাই কোর্ট এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সূত্রে খবর, বর্তমানে তাদের হাতে একাধিক মামলা রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্দেশখালি কাণ্ড, তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার।
এসবের মাঝেই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তকার্য চলছে। তবে বাংলায় তদন্ত প্রক্রিয়া বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। মামলার সাক্ষী, আইনজীবীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। যে কারণে সাক্ষীরা পিছিয়ে আসছেন। আইনজীবীরা মামলা নিতে চাইছেন না। যে কারণে মামলার শুনানি অন্য রাজ্যে নেওয়ার দাবিও উঠতে শুরু করেছে। এসবের মাঝেই এবার সামনে এল সিবিআই নোটিশের খবর।