বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক বছরে বীরভূম জেলার সাথে বোমা শব্দটি যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছ। সেই বোমা তৈরির রসদ হিসাবে চায়না বারুদ ঢুকছে বীরভূমে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই চায়না বারুদ রোধ করাই এখন চিন্তার বিষয়। পুলিশের আশঙ্কা ইতিমধ্যে বীরভূমের বেশ কিছু জায়গায় মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়খন্ড থেকে এই বারুদ এসেছে।
এই বারুদ নির্দিষ্ট ঠিকানায় চলে যাচ্ছে ক্যুরিয়ার সার্ভিস বা বাসের চালকের হাত ধরে আর পাঁচটা সাধারণ পণ্যের মতো। বীরভূম জেলার বোমা নির্মাতারা রীতিমত অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই বারুদে। সিউড়ি থেকে দুলাল দলুইয়ে গ্রেপ্তারের পর ‘চায়না বারুদ’ উদ্ধার হয়েছিল তার বাড়ি থেকে। সাধারণ দেশী বারুদের থেকে দাম অনেকটা কম চায়না বারুদের।
আরোও পড়ুন : গরীবের সেবায় বিলিয়েছেন নিজের উপার্জন! ১১ বছর ধরে নিঃশব্দে লড়ছেন কোচবিহারের মাঙ্গিলাল
দেশি লাল ও কালো বারুদের সঙ্গে গন্ধক মিশিয়ে এতদিন বোমা তৈরি করা হত। তবে চায়না বারুদ হাতে আসার পর বোমারুরা হাতে যেন চাঁদ পেয়েছেন।জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ন মুখোপাধ্যায় বলছেন, “সিউড়িতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরেই আমরা প্রথম এই বারুদের সন্ধান পেলাম। আমাদের লাগাতার তল্লাশির ফল এই বারুদ উদ্ধার।”
উত্তরপ্রদেশ ঘুরে মুর্শিদাবাদ ও ঝাড়খন্ড দুটি দিক থেকে বীরভূমে ঢুকছে চায়না বারুদ। এই বারুদের দাম অনেকটা কম হওয়ায় লাভ থাকছে অনেকটা বেশি। এছাড়াও এই বারুদ দিয়ে বোমা তৈরি করার সময় ঝুঁকি কম। সহজে ফাটে না। বোমা বিশেষজ্ঞদের কথায়, ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকে চায়না বারুদে, তাই ঝলকানি বেশি হয়, দেশি বোমার থেকে শব্দ হয় দু গুণ বেশি।