বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে শিক্ষিত বেকারদের অবস্থা যে কী তা এই বিজ্ঞপ্তি থেকেই স্পষ্ট। একজন এমএসসি এবং বিএড পাশ প্রার্থীর যোগ্য বেতন নাকি ৩০০০ টাকা। আজকালকার দিনে একশো দিনের কাজেও এর থেকে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন দিনমজুররা। আর সেখানে একজন পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের বেতন কী না ৩০০০ টাকা। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
আনন্দবাজারের পাতায় প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, লজ্জাজনক এই ঘটনাটি হুগলির পুরশুড়ার চিলাডাঙি রবীন্দ্র বিদ্যাবীথির (উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়)। স্কুলে শিক্ষকের প্রয়োজন থাকায় এই নিয়োগ (Recruitment) বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাসিক ৩০০০ টাকা বেতনে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ হবে। সেই হিসেবে দৈনিক গড় বেতন দাঁড়ায় ১০০ টাকা।
আজকের দিনে যেখানে একজন দিনমজুরের বেতন ২৩৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০ করা হয়েছে সেখানে একজন শিক্ষকের পারিশ্রমিক কী না ১০০ টাকা! বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন চিলাডাঙি রবীন্দ্র বিদ্যাবীথিরের টিচার ইনচার্জ সন্দীপ প্রামাণিক। গণমাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনে কিছু কথা না থাকার কারণে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাছাড়া তারা নিজেরাও নিরুপায় বলে দাবি সন্দীপ প্রামাণিকের।
আরও পড়ুন : এক হারেই বিরাট ক্ষতির মুখে KKR! চিন্তায় গম্ভীর, বড় সমস্যায় নাইটরা
এইদিন সাংবাদিকদের সামনে সন্দীপ প্রামাণিক জানিয়েছেন, বিগত বহুদিন ধরে শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়ার কারণে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করতে হচ্ছে। আর সেটাও তাদের নিজেদের উদ্যোগে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অতিথি শিক্ষককে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন পড়াতে হবে। সাথে তিনি আরও জানিয়েছেন, অতিথি-শিক্ষক নিয়োগে সরকারি কোনও আর্থিক বরাদ্দ নেই। মূলত পড়ুয়াদের টিউশন ফি থেকে তৈরি তহবিল থেকেই এই বেতন ধার্য্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কিছুক্ষণেই ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় হাই অ্যালার্ট: আবহাওয়ার খবর
অন্যদিকে স্কুলের সভাপতি দিলীপকুমার জানা বলেন, ‘জানি, সাম্মানিকের অঙ্ক খুবই কম। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ নিরুপায়। স্কুলে তিন জন অতিথি-শিক্ষক আগে থেকেই আছেন। সংখ্যাটি চার হচ্ছে।’ তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, দোষ কার? সরকার নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষের?