বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জোর করে জমি দখল থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন, সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার তাঁর ভাই শেখ আলমগিরের ‘কুকর্মে’র কথা ফাঁস করল তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ইডির (Enforcement Directorate) কাছে আলমগিরের বিরুদ্ধে একাধিক বয়ান দিয়েছে এলাকাবাসী। তাঁর সকল ‘কীর্তি’র কথা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে ফাঁস করা হয়েছে। ইডির (ED) বিশেষ আদালতে এই সকল কথা জানানো হয়েছে বলে খবর। তবে সাক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতে আলমগির (Sheikh Alamgir), শিবু হাজরা এবং দিদার মোল্লাকে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ২২ এপ্রিল অবধি তাঁদের ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করে, জমি দখলের টাকা পাচার করতে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) কোম্পানি থেকে কোটি কোটি টাকা তাঁর ভাই, শিবু এবং দিদারের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। আলমগির কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করল সেটার তদন্তে নেমে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তখনই উঠে আসে একাধিক তথ্য।
গত ১ এপ্রিল এক ব্যক্তি ইডির কাছে আলমগিরের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ আনেন। জনসাধারণের মনে ভয়ের উদ্রেক করতে শাহজাহানের ভাই তোলাবাজি, হুমকি, ডাকাতি এসব করতে বলে দাবি করা হয়। ৬ এপ্রিল সাক্ষী দেওয়া এক ব্যক্তি আবার আলমগির এবং শিবুর বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয়ছয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। সেই সঙ্গেই মহিলাদের কিডন্যাপ, মহিলা কর্মীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগও আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! ভোটের আগে কাঠগড়ায় তৃণমূল, ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি
তাঁর দাবি, আলমগির সর্বদা বন্দুক নিয়ে ঘুরতেন। গত ২ এপ্রিল সাক্ষী দেওয়া এক ব্যক্তিও আলমগিরের বন্দুক নিয়ে ঘোরার বিষয়টি জানিয়েছেন বলে খবর। শাহজাহানের ভয় দেখিয়ে জোর করে জমি দখল, তোলাবাজি, এমনকি খুনও করতেন আলমগির, অভিযোগ এমনটাই। একজন আবার দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষের থেকে জমি ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে পোলট্রির খামার তৈরি করেছিলেন আলমগির এবং শিবু।
এখানেই শেষ নয়, গতকাল আদালতে ইডি দাবি করে, শাহজাহানের সংস্থা এস কে সাবিনা, সাবিনা ফিশারিজ থেকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা পেয়েছেন তাঁর ভাই। শিবু এবং দিদারও বাদ যাননি। মাছ সরবরাহের নামে এই টাকা দেওয়া হলেও, আদতে একটিও মাছ সরবরাহ হয়নি বলে দাবি। তদন্তকারীদের দাবি, জমি দখলের টাকা পাচার করতেই শাহজাহানের ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট রাখা হয়েছে। ভেড়ি দখলের তদন্তে নেমে এসব তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির।