বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরি আর দুর্নীতি এখন যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এই কথা আমরা বলছি না, বলছেন বহু কর্মপ্রার্থী। বিগত কয়েক বছরে নিয়োগ ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে বাংলায়। দুর্নীতির জল এত দূর গড়িয়েছে যে বহু প্রাক্তন মন্ত্রী ও সরকারি কর্তারা এখন রয়েছেন কারাবাসে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ও ইডি প্রায় ১০ টি দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিয়োগ নিয়ে করলেন বড় মন্তব্য। অসমের শিক্ষা দপ্তর গত সপ্তাহে আবার জানায় সে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হবে স্থায়ী শিক্ষকদের হারে।
আরোও পড়ুন : চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! ৪ হাজারের বেশি লোক নিচ্ছে রেল, মিস করলেই বড়সড় লস
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি নির্বাচনী সভা থেকে জানিয়েছেন, ‘পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি না করলে নিয়োগ পরীক্ষায় ১০ মার্কস গ্রেস দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীকে।’ হিমন্ত আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে ১ লাখ লোককে চাকরি দিয়েছে। ভবিষ্যতেও সমাজের সমতা বজায় রেখে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।’
আরোও পড়ুন : চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! ৪ হাজারের বেশি লোক নিচ্ছে রেল, মিস করলেই বড়সড় লস
পাশাপাশি অসমের শিক্ষা দপ্তর জানায়, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের স্থায়ী শিক্ষকদের সমান বেতন দেওয়া হলেও, তাদের স্থায়ী করার পরিকল্পনা আপাতত নেই সরকারের। একটি হিসাব অনুযায়ী, অসমের বিভিন্ন স্কুলে বর্তমানে ৪ হাজার ৫০০জন চুক্তিভিক্তিক শিক্ষক রয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর মমতা হোজাই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
আরোও পড়ুন : উধাও হচ্ছে Apple, পিছিয়ে পড়ছে দিনের পর দিন! স্মার্টফোনের দুনিয়ায় এবার ফার্স্ট পজিশনে এই সংস্থা
তিনি জানান, ‘স্কুলে যে শিক্ষকরা চুক্তিভিত্তিক ভাবে নিযুক্ত তাদের সরকারি স্থায়ী কর্মীদের সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত পড়িয়ে যেতে পারবেন স্কুলে। ততদিন তাঁদের স্থায়ী সরকারি কর্মীর মতোই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। সাড়ে তিন বছর আগে থেকেই সরকার এই পদক্ষেপ করেছে।’
মমতা হোজাই এও জানান যে আপাতত এই শিক্ষকদের স্থায়ী করা হবে না। তবে আগে অসমের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু বলেছিলেন, ‘রাজ্যে এখন টেট উত্তীর্ণ ২৫ হাজার শিক্ষ আছেন। এছাড়া রাজ্যের সাড়ে ৯ হাজার শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক ভাবে স্কুলে পড়াচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৫০০ জন ক্লাস ৯ ও ১০-কে পড়ান। তাঁদের সবাইকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে।’