বাংলাহান্ট ডেস্ক : পর্যটন প্রেমীদের জন্য বড় সুখবর এনেছে রেল। আগামী বছর পুজোর আগেই বাংলার পর্যটকেরা এক ট্রেনেই চলে যেতে পারবেন সিকিম। সেই মতো সিকিমে রেললাইন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে গাড়ি করে সিকিম যাওয়ার দিন শেষ। এবার পাহাড়ের কোল বেয়ে মনোরম প্রকৃতিকে সঙ্গী করে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই পর্যটন স্থলে।
পাহাড় কেটে টানেলের মধ্যে দিয়ে এই রেলপথ তৈরি হচ্ছে। জানা গেছে ৮০ শতাংশ টানের তৈরির কাজ শেষ। রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে খুব শীঘ্রই বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত লাইনে যাত্রী পরিষেবা শুরু হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে এই লাইনে। সেই কাজ সম্পন্ন হলে রেললাইন সরাসরি চিন সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
আরোও পড়ুন : এক বাড়ি থেকেই ভোট দেবেন ৩৫০ জন! চিনে রাখুন ১২০০ জনের এই পরিবারকে
জানা যাচ্ছে, পাঁচটি স্টেশন থাকতে চলেছে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটারের এই রেলপথে। ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ থাকবে এই রেলপথে। এই রেলপথের ৩৮ কিলোমিটার লাইন টানেলের মধ্যে দিয়ে যাবে। এমনকি একটি ভূগর্ভস্থ রেল স্টেশনও থাকবে। তিস্তাবাজার স্টেশনটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন হতে চলেছে।
আরোও পড়ুন : পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি না করলে … নিয়োগ নিয়ে বড় ঘোষণা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর
এছাড়াও এই রেলপথে ট্রেন স্টপেজ দেবে সেবক, রিয়াং, মেল্লি এবং রংপো স্টেশনে। একটি রিপোর্টে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে আগামী বছর। তারপরেই শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে সিকিম-চিন সীমান্তের নাথু লা পর্যন্ত বিস্তার করা হবে রেললাইন।
এমনকি ভবিষ্যতে এই রেলপথে ছুটতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। মোট ১৪ টি টানেল থাকবে সেবক-রংপো রেললাইন প্রকল্পে। তার মধ্যে দশটি টানেল তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। রেল কর্তৃপক্ষের আশা আগামী ১ বছর থেকে ১৬ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বাকি চারটি টানেল তৈরির কাজ। এই ১৪ টি টানেলের ১৩ টি টানেলই পড়বে পশ্চিমবঙ্গে।