বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিজ থেকে ডিএ ইস্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ভোটের ডিউটি নিয়েও একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে টালবাহানা।
এরই মাঝে রাজ্যের (West Bengal) স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের (School Teachers) জন্য হাজির নয়া নির্দেশিকা। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল।
রাজ্য সরকার (West Bengal State Government) জারি করা নির্দেশিকা দেখে রাতের ঘুম উড়েছে শিক্ষকদের। জানিয়ে রাখি স্কুল শিক্ষিকদের স্বেচ্ছা অবসর বা ভলেন্টিয়ার রিটারমেন্টে (Voluntary-Retirement) নয়া নিয়ম এনেছে রাজ্য। কী সেই নিয়ম? কেনই বা চিন্তা বাড়বে সরকারি শিক্ষকদের? জানিয়ে রাখি, রাজ্য সরকার জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কাহের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্বেচ্ছাবসর নিতে গেলে এবার থেকে শিক্ষকদের আবেদন জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের কাছে। তবে এখানেই শেষ নয়।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথমে স্কুলে আবেদন জানালে সেই আবেদনের ভিত্তিতে স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। তারপর তা যাবে জেলা পরিদর্শকের কাছে। সেখান থেকে সবশেষে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্বেচ্ছাবসরের আবেদনপত্র পৌঁছাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।
জানিয়ে রাখি, এতদিন কেউ স্বেচ্ছা অবসর নিতেই চাইলে পর্ষদের কাছেই সরাসরি আবেদন জানাতে হত। পর্ষদেই তা গ্রাহ্য হত। তবে এবার থেকে সেই নিয়ম বদলে গেল। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত অবসরের আবেদন শিক্ষা দফতরের কাছে জমা করা হত। তবে বর্তমানে পর্ষদই নিয়োগকর্তা বিতট সেখানেই আবেদন পাঠাতেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: আর মাত্র কয়েক দিন! গরমের ছুটি পড়বে স্কুলে, দিন কী আরোও বাড়ল? প্রকাশ্যে এল নয়া আপডেট
তবে জানা যাচ্ছে এই নিয়ম বহু শিক্ষিক না মেনে আবেদনপাত্র পাঠাতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। জানিয়ে রাখি, অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাবসরের যে সুবিধা গুলি আছে তা শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীবৃন্দদের দেওয়া হয় না। এই ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া সাধারণত পেনশনের ক্ষেত্রে ষাট বছর অবসর গ্রহণের পরের দিন থেকে আরো সাত বছর পর যদি মৃত্যু হয় তাহলে এই সময়কালের জন্য ওই কর্মীর পরিবারের লোকেরা পেনশন পেয়ে থাকেন।
এক্ষেত্রে কেউ যদি ৫৫ বছর বয়সে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে সময়সীমা হবে ৬২ বছর পর্যন্ত। প্রক্রিয়াটিকে স্বেচ্ছাবসর না বলে প্রাক-অবসর বলাই শ্রেয় বলে মনে করে শিক্ষকদের একাংশ। এজ নিয়ে অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছা অবসর বা ভলেন্টিয়ার রিটারমেন্টের ক্ষেত্রে যা সুবিধা দেওয়া হয় শিক্ষকরাও সেই দাবি জানিয়েছেন।