বাংলাহান্ট ডেস্ক : মৌর্য যুগের খ্যাতনামা পণ্ডিত ছিলেন চাণক্য। তিনি কৌটিল্য, বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক, কূটনীতিবিদ ও শিক্ষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতি গ্রন্থ রচনা করেন চাণক্য। প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তকে সাধারণ মানুষ থেকে রাজা বানিয়ে ছিলেন তিনি। ভীষণ বাস্তববাদী চাণক্য জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কি বলেছিলেন চাণক্য।
চাণক্য নিজের মনে করতেন, তাঁর রচিত বিভিন্ন পুস্তক কিংবা গুণাবলী যদি কেউ নিজের জীবনে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেন, তাহলে সে জীবনে খুশি থাকতে পারবে। চাণক্যের নীতি শাস্ত্রের শিক্ষাগুলি অনুসরণ করা বর্তমান সমাজে বেশ প্রাসঙ্গিক। একজন খারাপ স্ত্রী কেমন হন সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলেছিলেন চাণক্য। এই নিয়মগুলি মেনে চললে খারাপ মহিলাদের বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন ছেলেরা।
আরোও পড়ুন : জীতু কামালের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন! অবশেষে মুখ খুলে সত্যিটা জানিয়েই দিলেন শ্রাবন্তী
চাণক্য মনে করেন, বুদ্ধিমত্তার চেয়ে সৌন্দর্যকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা মহিলাদের অহংকারের কারণে সংসারে সুখ কখনোই আসবেনা। এই নারীরা কোনদিন অন্য কারো কথা ভাবেন না। বস্তুগত বিষয়গুলো যেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। বিবাহের পর স্বামী কিংবা পরিবারের কল্যাণের কথা না ভেবে সবসময় নিজের কথা চিন্তা করেন তারা। চাণক্য মনে করেন, এই ধরনের মহিলারা কোনদিন সুখী হবেন না। কারণ অন্যের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পরিবার-পরিজনকে সুখে রাখা এবং সম্পর্ক পরিচালনা করা অপরিহার্য বিষয়।
চাণক্য নীতি অনুযায়ী, যে সকল মহিলারা অন্যদের অপমান করে থাকেন, এই সকল মহিলাদের থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়। এমন মহিলারা বিয়ের পর স্বামী এবং পরিবারের সদস্যদের সম্মান করেন না। তাতে বাড়িতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরিবারের শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। এই ধরনের একজন মহিলা যতই ভালো হোক না কেন সংসারের উপযুক্ত বা জীবনসঙ্গী হিসেবে তারা উপযুক্ত নয়। হতে পারে তিনি ভাল পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি হয়তো খুব বুদ্ধিমান। সৌন্দর্যের দিক থেকেও তুলনাহীন। কিন্তু একজন জীবন সঙ্গী হিসেবে তিনি সঠিক নন।