হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ! চাকরিহারাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে SSC, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে শিরোনামে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় (SSC Verdict)। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। এরপর থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই নিয়ে মুখ খুললেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) হাই কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন সিদ্ধার্থ (Siddhartha Majumdar)। তিনি বলেন, ‘অনেকে চাকরি করছিলেন। সব নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি’। যে শূন্যপদে নিয়োগ বিতর্ক তার সংখ্যা হল ২৪৬৪০। সেই শূন্যপদে এসএসসিকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নির্দেশ। এসএসসিই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার যোগ্যতামান সম্বন্ধে জানাবে। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে হবে সেই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) কাছে কোনও পরিষ্কার ধারণা নেই। শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও।

এদিন হাই কোর্টের রায় প্রসঙ্গে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, পুরোটা না পড়া অবধি বুঝতে পারব না। তবে আপাতদৃষ্টিতে এই রায় খুব কঠোর মনে হচ্ছে। সিদ্ধার্থ বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর সিবিআইয়ের ৫০০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ ছিল। এর মধ্যে অনেকেরই আগে চাকরি বাতিল হয়েছে। বাকি যে ১৯০০০ জন রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? কোনও নতুন তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও কেন চাকরি বাতিল করা হল? প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ হাই কোর্টের রায়ে বাতিল প্রায় ২৬০০০ চাকরি! ‘আরও ১০ লক্ষ চাকরি তৈরি’! ঘোষণা মমতার

এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলা নিয়ে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রায় ৫০০০ জনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। তাঁদের নিয়োগ আইনসঙ্গতভাবে না হওয়ার সন্দেহপ্রকাশ করা হয়েছিল বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান।

SSC chairman Siddhartha Majumdar on Calcutta High Court SSC verdict

সিদ্ধার্থ বলেন, মোট চাকরিজীবীর সংখ্যা ২৪০০০। এর মধ্যে যদি  ৫০০০ জনের নিয়োগ নিয়ে সিবিআইয়ের সন্দেহ থাকে এবং ২০২২ সাল থেকে তা বাতিলও হতে থাকে, তাহলে বাকিদের চাকরি কেন বাতিল করা হল? এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন, এই মামলায় নতুন কোনও তথ্য প্রমাণ তাঁদের কাছে নেই। সব মিলিয়ে তাই এবার, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর