বাংলাহান্ট ডেস্ক: তীব্র গরমে বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। তবে জীবন-জীবিকার জন্য অনেককেই রাস্তায় নেমে কাজ করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সবার নজর কেড়ে নিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বৃষ্টি পাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমত তিনি হয়ে উঠেছেন অনেকের অনুপ্রেরণা। ভূগোলে মাস্টার্স, বি.এড করা এই মেয়েটার কাছে প্রথম দিকে লড়াইটা কঠিন মনে হলেও আজ লোকাল ট্রেনটাই যেন তার কাছে হয়ে গেছে এক আস্ত মন্দির।
বেসরকারি একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন স্বামী। স্বামীর চাকরি চলে যেতেই ট্রেনে ফেরি করার পথ বেছে নেন বৃষ্টি। বৃষ্টির অবশ্য আসল নাম সুপ্রিয়া। কিন্তু, ট্রেন যাত্রীদের কাছে তিনি আদরের বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই, তার নিজের লড়াই বহু মানুষের কাছে জানানোর জন্যেই নিজেই খুলেছেন ‘বৃষ্টির লড়াই’ নামে একটি ফেসবুক পেজ। উদ্দেশ্যে তার একটাই, হাজার হাজার মেয়েকে স্বনির্ভর করে তোলা।
আরোও পড়ুন : উড়িয়ে দেবে শত্রু দেশের ঘুম! নৌসেনায় এল নতুন মারণাস্ত্র, সফলভাবে উৎক্ষেপণ করল DRDO
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সংসারের যাবতীয় কাজ সামলে হাতে দুটো ভারী ব্যাগ নিয়ে ছোটেন স্টেশনের দিকে। এই হাড়ভাঙা খাটুনির পর সামান্য এই উপার্জনের টাকা দিয়েই গ্রামে স্বামীকে একটা দোকানও করে দিয়েছেন তিনি। বৃষ্টি বলেন, ‘বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকেই মাস্টার্স সম্পূর্ণ করে ইচ্ছে ছিল একটা চাকরি করার। ইতিমধ্যেই বি.এডও করি। কিন্তু চাকরি জোটেনি। হঠাৎ করেই স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।’
বৃষ্টির কথায়, “সংসারের জন্য কিছু করতেই হবে এই ভেবেই বেরিয়ে পড়ি শাড়ি, কুর্তি নিয়ে লোকাল ট্রেনে। প্রথম প্রথম চোখে জল আসলেও, ওসব এখন অতীত। আজ বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আমার লড়াইয়ে পাশে থেকেছেন। আমার থেকে শাড়ি, পোশাক কিনে আমার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। লাখ মানুষের ভালবাসা আমি পেয়েছি। সেটা আমার কাছে সব চেয়ে বড় তৃপ্তি