বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) প্রথম রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই (CBI)। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ মুখবন্ধ খামে জমা দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য। রাজ্যের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সহযোগিতা করছে না। আদালতে সিবিআই জানায়, জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত মোট ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করলে তদন্ত করতে সমস্যায় পড়তে হবে। অভিযোগ শুনে এদিন রাজ্যকে তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
তথ্য দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে রাজ্যকে ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে ওই সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। প্রসঙ্গত সন্দেশখালি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এই রায়ের বিরোধীতা করেই সর্বোচ্চ আদালতে মামলা ঠোকে রাজ্য। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে এই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি। তাই এক্ষেত্রে রাজ্যকে সহযোগিতা করতে হবে এটাই কাম্য।”
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! নতুন প্রকল্পে ৫০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, শুধু লাগবে এই কাগজ
আগেই এই মামলায় সন্দেশখালির কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকায় সিসি ক্যামেরা, রাস্তায় রাস্তায় আলো বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও ওই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, এরপরও নির্দেশ কার্যকর না হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই আর্জিতে সায় দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৩ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।