‘শুভেন্দুর থেকে শেখা উচিত’, তৃণমূল পদ কাড়তেই বিরোধী দলনেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুণাল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। এরপরেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তার পরেও কুণাল আছেন কুণালেই! বৃহস্পতিবার ফের একবার শিরোনামে কুণাল-সুদীপ তরজা! কলকাতা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee) ফের একবার আক্রমণ করেন তিনি।

এদিন কুণাল বলেন, রাজনীতি কাকে বলে সেটা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) থেকে সুদীপের শেখা উচিত। আজ কুণালের মুখে যে কথা শোনা গেল, অতীতে কার্যত একই কথা বলতেন তাপস রায়। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের বিরুদ্ধে কেন মুখ খোলেন না সুদীপ? সংসদ এবং সংসদের বাইরে মোদীকে নিয়ে মুখে কুলুপ কেন এঁটে রাখেন? তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির লেলিয়ে দিলেও শব্দব্যয় করছেন না কেন কলকাতা উত্তরের সাংসদ? আজ কুণালের গলাতেও শোনা যায় কার্যত এক সুর।

কুণাল বলেন, তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে কুৎসা করেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে এটা স্বীকার করতেইহবে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা হিসেবে পরিশ্রম করছেন তিনি। সারা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন। দলের প্রয়োজনে যা করা দরকার সেটা করছেন।

আরও পড়ুনঃ ঝুলি ভর্তি ডিগ্রি! ব্যাঙ্কে মাত্র ১৮ হাজার! ঠিক কত টাকার মালকিন CPM প্রার্থী দীপ্সিতা ধর?

এদিকে তৃণমূলের সাংসদ হলেও একবারের জন্যেও সুদীপের মুখে মোদীর সমালোচনা শোনা যাচ্ছে না। বাংলায় এসে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা এতকিছু বলে যাচ্ছেন, তা সত্ত্বেও পাল্টা কিছু বলছেন না সুদীপ! যদিও এই প্রথম নয়, লোকসভা ভোটের আবহে এর আগেও এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন কুণাল। চিট ফান্ড কাণ্ড থেকে পিঠ বাঁচাতেই নিজের মুখ বন্ধ রেখেছেন সুদীপ, সেবার কার্যত এই বার্তাই দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের একবার দলীয় প্রার্থীকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

Kunal Ghosh

এদিকে পদ থেকে সরানো প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরোয়া তিনি করেন না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, কুণাল ঘোষ নামটা শুনলে মানুষ যেন চিনতে পারেন। যেন কোনও পদের দরকার না হয়। এরপরেই দেবের প্রসঙ্গে টেনে এনে বলেন, আমায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলে দেবকে কেন পাঠানো হবে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলেছেন। তবে দেব বলেছেন, উনি গদ্দার বলবেন না। এর অর্থ তো সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করা! এরপরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর