বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের আবহেই গিয়েছে মুখপাত্রের পদ। সম্প্রতি হারিয়েছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ। নাম তুলে নেওয়া হয়েছে তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও। আর তারপর থেকে অন্য ছন্দে তৃণমূল কর্মী কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কখনও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ‘বেফাঁস’, কখনও চোখের জলেই ভাসিয়ে দিলেন মনের ঠিকানা। এ যেন এক ‘অচেনা’ কুণালকে দেখছে রাজ্যবাসী। আর সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রার পারদ একটু নামতেই এদিন সকালে ভিন্ন মুডে তৃণমূল সৈনিক।
শনিবার সকালে কুণলের গলায় সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টি ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির ‘এক যে ছিল রাজা’ গান। দলে ‘বেসুরো’ হলেও গানের সুরে কাকে বার্তা দিলেন শাসকদলের নেতা সেই নিয়েই এখন চৰ্চা তুঙ্গে। দল পদ থেকে সরানোর পর অভিমানের পালা কাটিয়ে আজ রিলাক্স মুডে কুণাল।
এদিন নিজের মোবাইলেই গান রেকর্ড করেন কুণাল ঘোষ। আর সেই নিয়েই এখন তরজা। গানে ‘রাজা’ বলে কাকে উল্লেখ করলেন পদহারা কুণাল? কী বার্তা দিতে চাইলেন? উঠছে প্রশ্ন। যদিও কুণাল কিছু উল্লেখ করেন নি। তবে জ্বলন্ত আবহে কুণালের এই গান যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশের।
শনিবার সকালে নিজের X হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার) থেকে একটি ছবিও পোস্ট করেন কুণাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, পাশেই বসে রয়েছেন কুণাল ঘোষ। ছবি পোস্ট করে তৃণমূল নেতা লেখেন, “পুরোনো সেই দিনের কথা। তখনও @AITCofficial সরকারে আসেনি। একটা সুন্দর মুহূর্ত।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে উত্তর কলকাতার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ক্লাবের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে অথিতি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং কুণাল দু’জনেই। সেই সূত্রেই এক মঞ্চ ভাগ করে দেন তৃণমূল-বিজেপির দুই নেতা। মঞ্চেই বসে তাপস রায়, তার উপস্থিতিতেই কুণাল সেখানে বক্তৃতা দেন। প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থীকে।
আরও পড়ুন: ‘এটা রাজ্যের অভ্যেস হয়ে গেছে… আর সুযোগ দেব না’, রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট
মঞ্চে দাঁড়িয়েই খুল্লামখুল্লা কুণাল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী। তবে প্রার্থী হিসেবে তাপসদাকে আমি কোথাও জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক ইঞ্চি পিছনে রাখতে পারব না। তাপসদা মন খুলে কাজ করেন। এখানকার এলাকার মানুষকে ঠিক করতে দিন, তারা কাকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নেবেন। ছাপ্পা ভোট যেন না হয়।’’ এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই দলের কোপ গিয়ে পড়ে কুণালের ওপর।