বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার নতুন নিয়ম। নয়া বিধি অমান্য করলে মোটা জরিমানার বিধান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গার্ডেনরিচে অবৈধ আবাসন ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। তারপর থেকেই একাধিক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে গার্ডেনরিচ সহ গোটা কলকাতা জুড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) দিকে। তবে এবার কলকাতা পুরসভা নির্মীয়মান ভবনের সুরক্ষা নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে।

পুরসভার পক্ষ থেকে নতুন নিয়ম বলবৎ করা হল। নিয়ম না মানলে জরিমানা করার বিধানও রয়েছে। অনেক জায়গায় নতুন ফ্ল্যাট তৈরির আগে ভেঙে ফেলা হয় পুরনো বাড়ি। ভাঙা বাড়ির যে নির্মাণ বর্জ্য জমা হয় তা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার বিধি রয়েছে। নকশা অনুমোদন করার সময় বর্জ্যর পরিমাণ দেখে তা স্থানান্তরিত করার জন্য কলকাতা পুরসভা টাকা নিয়ে থাকে।

আরোও পড়ুন : পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ! ৩ দিন বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, কালিম্পং-সিকিম যেতে ধরতে হবে এই রুট

তবে সাম্প্রতিককালে অভিযোগ উঠছে অনেক সময় পুরসভার হাতে হস্তান্তর করা হচ্ছে না নির্মাণ বর্জ্য। এই আবহে কলকাতা পুরসভা কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা বাড়ির ভিত তৈরির পর পরিদর্শনে যাবেন। সেই সময় তাদের দেখাতে হবে নির্মাণ বর্জ্য সরানোর বিল। সেই বিল দেখাতে না পারলে বন্ধ করে দেওয়া হবে নির্মাণের কাজ।

আরোও পড়ুন : রচনা গালে চুমু খেতেই শপথ এই তারকার! ‘আর ধুচ্ছি না ‘, বলতেই ভাইরাল সেই সেলিব্রেটির ভিডিও

এছাড়াও নিয়ম অমান্য করলে রয়েছে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করার বিধান। কলকাতা পুরসভা জানাচ্ছে, শহরকে আরো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গার্ডেনরিচ কান্ডের পর শহরে একাধিক বিল্ডিং ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার থেকে এক কাঠা জমির উপর বাড়ি তৈরি করলেও লাগবে প্ল্যানের অনুমোদন।

KMCs 1

এর আগে দের কাঠা জমি পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে প্ল্যান অনুমোদনের দরকার পড়ত না। যে পরিমাণ জমি থাকবে তা পর্যবেক্ষণ করে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সার্টিফিকেট দেখে নির্মাণের অনুমোদন দেবে পুরসভা। তবে ছোট জমির ক্ষেত্রে অত্যন্ত কম রাখা হয়েছে অনুমোদন ফি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর