বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আবহে রাজনীতির অন্যতম ‘হট টপিক’ হল দুর্নীতি (Corruption)। শিক্ষক নিয়োগ, রেশন থেকে শুরু করে গরু পাচার, বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক দুর্নীতি মামলার খবর সামনে এসেছে। নাম জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেই একাধিক তাবড় তাবড় রাজনীতিবিদদের গায়ে দুর্নীতির ‘কাদা’ লেগেছে। তবে ব্যতিক্রম দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হন মোদী। দেখতে দেখতে প্রায় ১০ বছর হয়ে গিয়েছে। এর আগে প্রায় প্রায় দেড় দশক গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে মোদীর দাবি, এই দীর্ঘ সময়ে একবারের জন্যেও তাঁর বিরুদ্ধে কেউ এক টাকা নেওয়ার অভিযোগ করতে পারেননি। এবার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মাঝে নিজের সেই দুর্নীতিমুক্ত ভাবমূর্তিই তুলে ধরলেন তিনি।
বর্তমানে ভোট প্রচারে দেশের নানান রাজ্যে ঘুরছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের পালামুতে প্রচারে এসেছিলেন তিনি। সেই সভায় দাঁড়িয়েই মোদী বলেন, ‘আমি বিগত ২৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছি। তবে এই আড়াই দশকে কেউ আমার বিরুদ্ধে এক পয়সারও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেননি’।
আরও পড়ুনঃ ‘এটা তো আমাদেরই ঘর…’! সন্দেশখালির ‘আসল ঘটনা’ ফাঁস করলেন BJP-র গঙ্গাধরের স্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের আশীর্বাদে আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমার জন্য আমার মা-বোনেদের প্রার্থনাই যথেষ্ট। ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, স্বাচ্ছন্দ্য এসব থেকে এখনও আমি দূরে আছি। আনন্দের জন্য নয়, মোদীর জন্ম হয়েছে একটা লক্ষ্যের জন্য’।
পালামুর সভায় দাঁড়িয়ে পিএম মোদী বলেন, গোটা বিশ্বে এখন ভারতের শঙ্খ উচ্চস্বরে বাজছে। সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে। এরপরেই তিনি বলে, একটি উদ্দেশের জন্য তাঁর জন্ম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘একটি উদ্দেশের জন্য মোদীর জন্ম হয়েছে। কংগ্রেস-জেএমএম নেতারা দুর্নীতির দ্বারা প্রচুর সম্পদ বানিয়েছেন। তবে আমার একটা সাইকেলও নেই’।
মোদী বলেন, ‘ওনারা ওনাদের সন্তানদের উত্তরাধিকারী করার জন্য সবকিছু সংগ্রহ করছেন। তবে আমার উত্তরাধিকারী হলেন আপনারা সবাই। আপনার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা, আমার উত্তরাধিকারীরা, আপনাদের সন্তানদের জন্য আমি একটা ‘বিকশিত ভারত’ তৈরি করতে চাই। যাতে আমার পরিবার এবং এই রকম কোটি কোটি পরিবারকে যেমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীত হতে হয়েছে, সেটা যেন আপনাদের না সহ্য করতে হয়’।