বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির ‘স্ট্রিং অপারেশন’ (Sandeshkhali Sting Video) নিয়ে তুঙ্গে তরজা। শনিবার সকালে গোপন ক্যামেরায় বন্দি করা সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। গোটাটাই ‘ষড়যন্ত্র’। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে গঙ্গাধর কয়ালের মুখে কথা বসানো হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। গতকালই এই ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘লোকে খাবে না! কাঁচা কাজ। ভাইপো, আইপ্যাক এবং পোর্টালের একজন এটা করেছেন।’
ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে অভিযোগ তুলে গঙ্গাধর কয়াল সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে ইমেলে অভিযোগ করেছেন।’ অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে অভিষেকেরও। যদিও ভোটের মাঝে এসবে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে প্রচার সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘সন্দেশখালিকে জাগ্রত করে দিয়েছেন আপনি। ওখানে ১০ বছর ধরে আপনার লোকেরা মাঝরাতে মহিলাদের ডেকে তাদের সঙ্গে কী করেছে, তা এখন গোটা দেশের লোক জানে। খুব কাঁচা স্ক্রিপ্ট লিখেছে। ভাইপো বলেছে, আমাকে জেলে ঢোকাবে। আমি বলেছি, এবার কয়লা ভাইপো জেলে যাবে।’
ওদিকে শুভেন্দু আধিকারীর পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওর সিবিআইকে বলুক ক্ষমতা থাকলে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতে।’ অভিষেক আরও বলেন, ‘সিবিআই দেখিয়ে রাজনীতি অন্য জায়গায় করতে বলবেন। গত পাঁচ বছর ধরে সিবিআই ইডির ভয় দেখাচ্ছে। আমাকে দিল্লিতে ইডি ডেকেছে নিরাপত্তা ছাড়া গিয়েছি। ইডি সিবিআই আমাকে জেলে ঢোকাবে? শুভেন্দু অধিকারীকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ক্যামেরায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি।’
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি নেতার বিস্ফোরক ভিডিও সামনে আনে তৃণমূল। ভাইরাল ভিডিও-য় সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে। তার মুখ ও কথাবার্তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভিডিওতে। যদিও ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।
আরও পড়ুন: এবার চাকরি যাবে প্রাইমারির ৩২০০০ শিক্ষকের? SSC-র পর ফের একই পথে হাঁটতে চলেছে হাইকোর্ট!
ভিডিও-য় বিজেপি নেতা গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এই আন্দোলনকে ধরে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। শুভেন্দুবাবু একপাক ঘুরে গিয়েছে তাই এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। শুভেন্দুদা তার লোকজনকে দিয়ে টাকা, মোবাইল পাঠিয়ে সাপোর্ট দিচ্ছেন বলেই…খালি হাতে কিছু হবে না’।
গঙ্গাধর আরও বলেন, “ধর্ষণের কোনো ঘটনাই এখানে ঘটেনি। অভিযোগ করানো হয়েছে। গোটাটাই শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে হয়েছে। যা হয়েছে গোটাটাই পরিকল্পনামাফিক হয়েছে।” আর এই ভিডিও নিয়েই ভোটের মাঝে নতুন করে উত্তাপ চড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।