বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হল এসএসসি মামলার শুনানি (SSC Recruitment Scam)। ইতিমধ্যেই এদিন শুনানিতে এসএসসি আদালতকে জানিয়েছে, বাতিল হওয়া ২৫৭৫৩ চাকরির মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার চাকরিপ্রার্থী যোগ্য। নিয়ম মেনে যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাদেরকে নিয়োগ হয়েছে।
দুপুর দুটোয় শুনানি শুরু করে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। আদালতে চাকরিহারাদের আইনজীবীর দাবি, ‘‘সিবিআইয়ের যে ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে সেসবের কোনও আইনি বৈধতাই নেই। ৬৫ বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী বৈদ্যুতিন তথ্যের কোনও সার্টিফিকেট নেই। অথচ ২৬০০০ চাকরি বাতিল করা হল। ৬৫বি আইনের ধারা মেনে শংসাপত্র না থাকলে প্রযুক্তির দিক থেকে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী।
পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি কি বলতে চাইছেন কেউ অবৈধ ভাবে চাকরি পায়নি’’?চাকরিহারাদের আইনজীবী জানান: বেআইনি নিয়োগ হয়নি। ৫ বছর ধরে তারা চাকরি করছেন। অথচ তার বহু শিক্ষকের চাকরি চলে গেল। ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সঠিক ভাবে করা হয়ে থাকলেই যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব বলে জানান আইনজীবী।
সিবিআই যে তালিকা দিয়েছে তা থেকেই এই কাজ করা সম্ভব বলেও দাবি করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তদন্তে প্রমাণ হওয়ার আগেই কী করে ২৬০০০ চাকরি বাতিল হয়ে গেল? আদালতে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। এরপরই চাকরিহারাদের আইনজীবী আদালতকে বলে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঝড়-বৃষ্টি! বিকেল থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায় তাণ্ডব, জারি সতর্কতা
চাকরিহারাদের ওই আইনজীবীর দাবি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাকে রাজনীতিতে নামার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক। একথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা মনে হয় আমাদের মামলার মূল বিষয়ে ফোকাস করা উচিত।’ SSC মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছে SSC চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতির নাম জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।