বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল (SSC Recruitment Scam)। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নজিরবিহীন রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এক ধাক্কায় চাকরি যায় ২৫৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। এদিন সেই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দিয়েছিল তাতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানাল, এখনই কারও চাকরি বাতিল নয়। যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে ২৫৫৭৩ জনেরই চাকরি আপাতত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ জুলাই। সেই দিন চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শুনানির দ্বিতীয় ভাগে ৮ হাজার ৩২৪ জনের নিয়োগ অবৈধ বলে সুপ্রিম কোর্টে জানায় কমিশন। এর আগে শুনানির প্রথম ভাগে ৭ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ অবৈধ বলে মেনে নিয়েছিল এসএসসি। এই থেকে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগ পক্রিয়ায় সম্ভবত কোনও অপরাধ মূলক পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মাথা ব্যথা হলে, মাথা বাদ দেওয়া হয় না’! ২৬,০০০ চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি পর্ষদের
তবে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘এসএসসি যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না।’, অযোগ্যদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও বহাল থাকবে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ২০১৬-র এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ।
গত মাসে SSC মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক নির্দেশে বলেছিলেন, যারা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে এবং প্যানেলের বাইরে থেকে এবং খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে, যারা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই অযোগ্যদের প্রত্যেককে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে। তার জন্য এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছি আদালত। এদিন এই অংশের উপরে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি অতিরিক্ত শূন্য পদ কেন সরকার তৈরি করেছিল, সেটা সিবিআই-কে খতিয়ে দেখবার জন্য বিচারপতি দেবাংশু বসাক, নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে যে কাউকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। আগেই এই নির্দেশর উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন তার মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে।