বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলতি বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিকে শুরু হচ্ছে নয়া পাঠ্যক্রম। এ বছর যারা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবেন তারা নতুন সিলেবাসে পড়াশোনা করবেন। পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে যাওয়ার ফলে বদল আনা হয়েছে সিলেবাসে। এ বছর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে।
নতুন পদ্ধতিতে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে তার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education) একের পর এক নয়া পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। গরমের ছুটি, অন্যান্য ছুটিসহ দুর্গাপুজোয় প্রত্যেক বছরই ছুটি থাকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের। তবে সংসদের নয়া ভাবনায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়ত দুর্গাপুজোর ছুটিতে আগের মতো আনন্দ পাবেন না।
আরোও পড়ুন : SSC কাণ্ডে ফের হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য! এবার যা জানতে চাইল আদালত, মুখে কুলুপ সবার
সংসদের পক্ষ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য যে অ্যানুয়েল ওয়ার্কিং প্ল্যান জারি করা হয়েছে সেই প্রেক্ষিতেই এই কথা বলা হচ্ছে। সংসদের অ্যানুয়াল ওয়ার্কিং প্ল্যানে প্রথম থেকেই অনলাইন ক্লাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বিষয়টি নিয়ে বলছেন, মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে যেমন অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে, তেমনই দুর্গাপুজোর ছুটিতেও অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরোও পড়ুন : আর কলকাতার পথ-ঘাটে জমে থাকবে না জল! কতক্ষণে পরিস্কার হবে রাস্তা? জানাল পুরসভা
তবে পুজোর ছুটিতে অনলাইন ক্লাসে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। পুজোর ছুটিতে অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১৪ দিন অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এই নিয়ম যদি কার্যকর হয় তাহলে পুজোর ছুটিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আনন্দের দিন যে শেষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া হয়েছে কনট্যাক্ট আওয়ার্স। প্রথম সেমিস্টারে প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য ১০০ ঘন্টা, দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য ৮০ ঘন্টা ও টিউটোরিয়ালের জন্য ২০ ঘন্টা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে সংসদের পক্ষ থেকে। এই কারণে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে পুজোর ছুটিতে।