বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েকমাস ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। একেরপর এক অভিযোগ উঠে আসছে সেখান থেকে। কদিন আগেই সামনে আসে স্টিং অপারেশনের ভিডিও। যদিও বিভিন্ন ফ্যাক্ট চেকাররা বলছে সেই ভিডিও নাকি ফেক। তার মাঝেই সামনে এল আরেক ভিডিও। যদিও বাংলা হান্টের তরফ থেকে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি তবে ভিডিওতে ঐ মহিলা যা দাবি করেছে তা চর্চার বিষয় বটে বৈকি।
ঐ জনৈক মহিলা দাবি করেছেন, তাকে দিয়ে নাকি ‘মিথ্যা মামলা’ করানো হয়েছিল। আর এখন তিনি সেই মামলা তুলে নিতে চান। তিনি জানিয়েছেন, তার অজান্তে তাকেই ধর্ষণের একটি মামলা করা হয়েছে থানায়। অথচ তার সাথে এমন কিছুই ঘটেইনি। ঐ মহিলার অভিযোগ, পরে তিনি এই মামলা তুলে নিতে চাইলে তাকে নাকি হুমকিও দেওয়া হয়। সেই সাথে আরও দুই মহিলার নামও নিয়েছেন তিনি।
ভিডিওর ঐ মহিলার দাবি, এই সবের নেপথ্যে ছিলেন মাম্পি দাস এবং পিয়ালি দাস। যদিও এই বিষয়ে পিয়ালির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা। পিয়ালির পাল্টা প্রশ্ন, ‘তিন মাস পরে কেন হচ্ছে এ সব? এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। যা হয়েছে, থানার ভিতরে পুলিশের সামনে হয়েছে।’ স্বাভাবিকভাবেই পিয়ালির বক্তব্যকে একেবারেই ফেলে দিচ্ছেনা রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ। অনেকেই পিয়ালির হয়ে সওয়ালও তুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কেউ কেউ বলছেন, সত্যিই যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে ঐ মহিলা সেই সময়ই আওয়াজ তোলেননি কেন? এই বিতর্কের তিন মাস পর কেন মুখ খুলছেন তিনি? আর তাও আবার তখন, যখন স্টিং অপারেশন নিয়ে শোরগোল তুঙ্গে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী দাবি করেছেন, তিনি রান্নার কাজের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুনঃ গরম যাবে চুলোয়! টানা ৪ দিন ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, কালবৈশাখী কোথায় কোথায়? আবহাওয়ার খবর
এদিকে সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই বেশ সমস্যায় পড়েছে বিজেপি। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ ফেক। এমনকি এই গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও আসল ঘটনা কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।