বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কয়েকদিন আগেই যেমন দলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এবার কল্যাণের বিরুদ্ধে মঞ্চে না উঠতে দেওয়ার অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)।
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ অপরূপা। যদিও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল (Trinamool Congress)। বরং আস্থা রেখেছে মিতালি বাগের ওপর। গতকাল মিতালির সমর্থনে আরামবাগের বুকে জনসভা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে সেই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন আরামবাগের (Arambagh) বিদায়ী সাংসদ অপরূপাও। তবে কল্যাণ তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গতকালের সভায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বেশ কিছুক্ষণ বক্তব্য রাখেন। সেই সময় দেখা যায়, মঞ্চের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে অপরূপা। কিন্তু মঞ্চে কেন উঠছেন না? এই প্রশ্ন করা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। সরাসরি কল্যাণের নাম নিয়ে বলেন, ‘সবকিছুই তো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠতে দেননি। তিনি তফশিলি, দলিত, সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে। আমি এখনও দলের দু’বারের সাংসদ’।
আরও পড়ুনঃ ভোটের মাঝেই উল্টো সুরে শুভেন্দু! তৃণমূলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরোধী দলনেতা! তাহলে কি…
এদিকে অপরূপার অভিযোগ শোনার পর চুপ থাকেননি কল্যাণও। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর একজন নিরাপত্তারক্ষী এসে অরূপ বিশ্বাসকে জিজ্ঞেস করেন, উনি এসেছেন… ওনাকে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা। অরূপ বিশ্বাস তো কার সঙ্গে কথা বলে বললেন, না উনি আসতে পারবেন না। আমার এতে কী যায় আসে! ওঁদের আমার ওপর ব্যক্তিগত রাগ আছে, আমার তাতে কিছু করার নেই’।
অপরূপা ‘তফশিলি, দলিত, সংখ্যালঘু বিরোধী’ বলেও আক্রমণ করেছেন কল্যাণকে। সেই নিয়েও পাল্টা দিয়েছেন শ্রীরামপুরের জোড়াফুল প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘তফশিলি, সংখ্যালঘু… আমার বিরুদ্ধে এসব বলে কোনও লাভ নেই। সহানুভূতি পেতে যারা এসব কথা বলেন, তাঁরা সস্তার কথা বলেন। আমি তফশিলি, সংখ্যালঘুদের জন্য কী করি, সেই বিষয়ে আমার ভোটাররা অবগত। এরা ব্যক্তিগত রাগ মেটাচ্ছেন’।
কল্যাণের বিরুদ্ধে অপরূপার এহেন অভিযোগ সম্বন্ধে তৃণমূলের নেতা শান্তনু সেনের সঙ্গে জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘সবার মনে রাখা উচিত, তৃণমূল যতক্ষণ আছেন… নিজেকে যত বড় নেতাই ভাবুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা সরে গেলে তিনি শূন্য। এটা অন্দরের বিষয়, অন্দরেই মিটিয়ে নেওয়া কাম্য’।