বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। বিজেপির টিকিটে ওই একই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবার ব্যারাকপুরে ভোটের আগে তৃণমূল শিবিরকে জোর ঝটকা দিলেন অর্জুন। বললেন, ‘শেষ দিন যখন জাল গোটাবো সেদিন দেখবেন আর কোনও মাছ ওদিকে নেই’।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) থেকে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন। চব্বিশের ভোটের আগেও একই ঘটনা ঘটে। অর্জুনকে ছেড়ে এবার তৃণমূল আস্থা রেখেছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ওপর। জনগর্জন সভা থেকে ব্যারাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী হিসেবে পার্থর নাম ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার ভোটের আবহে প্রাক্তন দলকে বিরাট ঝটকা দিলেন জগদ্দল-ব্যারাকপুর এলাকার এই দাপুটে রাজনীতিক।
বুধবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ তৃণমূল কর্মী অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। এর ফলে নৈহাটি জগদ্দল অঞ্চলে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন ৩০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জোড়াফুল প্রার্থী পার্থকেও একহাত নেন অর্জুন।
আরও পড়ুনঃ ৮৮ কোটির বাড়ি, মেয়ের থেকে ১১ কোটি ধার! কত সম্পত্তির মালিক তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা?
ব্যারাকপুরের পদ্ম প্রার্থীর দাবি, তৃণমূল সবচেয়ে বেশি নৈহাটিতে হারবে। পার্থ ভৌমিক যা যা কুকর্ম করেছেন তার জবাব এখানকার মানুষ দিয়ে দেবেন বলে দাবি করেন তিনি। অর্জুন বলেন, নৈহাটি, জগদ্দলে তৃণমূল কংগ্রেসে ধস নেমে নেমেছে।
প্রাক্তন দলকে একহাত নিয়ে ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘যারা দলের সঠিক কর্মী ছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই। তৃণমূলের জন্য যারা মার খেয়েছে, জেলে গিয়েছে, তাঁরা আজ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। সেই কারণেই আজ তৃণমূলে ধস নামছে’।
অর্জুন আরও বলেন, ‘পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ প্রায় ৩০০ জন এদিক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শেষ দিন যখন জাল গোটাবো সেদিন দেখবেন আর কোনও মাছ ওদিকে নেই। সব এদিকে চলে আসবে’। উল্লেখ্য, আগামী ২০ মে নির্বাচন রয়েছে ব্যারাকপুরে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। সেদিন শেষ হাসি কে হাসে সেটাই এবার দেখার।