বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সৈনিক’ ছিলেন তিনি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে বদলে যায় সমীকরণ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপর থেকে একাধিকবার নাম না নিয়েই তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার ঘাটালের জোড়াফুল প্রার্থী দেব (Dev) স্পষ্ট বললেন, ‘আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না যে আমায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে গদ্দার বলতে হবে’।
নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে দাঁড়িয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে নিয়ে মুখ খোলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী (Ghatal TMC Candidate)। দেব বলেন, ‘২০১৪, ২০১৯ সালে ওই মানুষটা আমায় এলাকা ঘুরিয়েছিল’। এবার অবশ্য ছবিটা আলাদা। শুভেন্দু এলাকায় ঘুরলেও, এবার তাঁর পাশে আছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। দেব বলেন, ‘আজ উনি হিরণকে নিয়ে ঘুরছেন। আমার নির্বাচন ফান্ড করেছে। আজ আমি সেই লোকটাকে দেখে চিনতে পারব না, এমনটা হয় না’।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মেদিনীপুরের ছবিটাই ছিল একেবারে ভিন্ন। গত লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে মেদিনীপুর জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দুর কাঁধে। ২০১৯ সালে দেবকে সঙ্গে নিয়ে গোটা এলাকা চষে বেরিয়েছিলেন তিনি। মেদিনীপুরের মাটিতে জোড়াফুল ফোটানোর দায়িত্ব ছিল শুভেন্দুর কাঁধে। এবারও মেদিনীপুরে ঘুরছেন তিনি। তবে এবার বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে। ঘাটালে হিরণকেই জেতানো তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
আরও পড়ুনঃ রামনবমীর মিছিলে হামলা! ‘তদন্তভার NIA-র কাছেই যাওয়া উচিত’! বিরাট মন্তব্য হাইকোর্টের
এদিকে পুরনো কথা মনে পড়তেই খানিক নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন দেব। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই যে আমায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে গদ্দার বলতে হবে। আমি এমন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না যে আমার বিরোধী হিসেবে যিনি দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তুমি যদি কাজ করে থাকো, তাহলে কাউকে নিশানা করার প্রয়োজন পড়ে না’।
দেব সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী হলেও, অতীতে কিন্তু শুভেন্দুকে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে সংসদের অন্দরের একটি ছবি শেয়ার ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ লিখেছিলেন, ‘আর কয়েক ঘণ্টা…’। সেই সময় দেবের MP ল্যাডের থেকে ৩০% কমিশন চাওয়া বিষয়ক একটি ভাইরাল অডিও নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।
নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, ‘দেব যে এজেন্ট দিয়ে কমিশন তোলেন, এটা ঘাটালের প্রত্যেকে জানেন। দেবের MP ল্যাডের কাজ নিতে গেলে ৩০% কিনা আমি সেটা জানি না, কিন্তু কাটমানি দিতে হয়। এটা শুধু দেবের ক্ষেত্রে নয়, সকল তৃণমূল সাংসদদের ক্ষেত্রেই’।