বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব (Lok Sabha Election 2024) চলছে। কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বহরমপুর সহ বাংলার মোট ৮টি আসনে নির্বাচন চলছে এদিন। এর মধ্যে অন্যতম হল বর্ধমান দুর্গাপুর। সকাল থেকেই এই হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের দিকে নজর ছিল। বেলা গড়াতেই সামনে এল মন্তেশ্বরে অশান্তির খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বর্ধমান দুর্গাপুর (Bardhaman Durgapur) আসনে এবার প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে দাঁড় করিয়েছে জোড়াফুল শিবির। অন্যদিকে বিজেপির (BJP) তুরুপের তাস দিলীপ। ভোটের দিন তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পদ্ম প্রার্থীকে। এদন কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় মন্তেশ্বর। রাস্তার মাঝেই আটকে দেওয়া হয় দিলীপের গাড়ি।
দেখা যায়, কিছুতেই দিলীপের গাড়ি এগোতে দিচ্ছিলেন না তৃণমূল কর্মীরা। কয়েকজনকে আবার গাড়ির সামনেই শুয়ে পড়তে দেখা যায়। নিমেষের মধ্যে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শেষ অবধি পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ রেশন দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! এবার হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য, কী উঠে এল তাতে?
এদিন সকাল থেকে মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছিল বর্ধমান-দুর্গাপুরে। বিক্ষিপ্ত কিছু অভিযোগ সামনে এলেও, মোটামুটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই ছিল। এমনকি আজ মুখোমুখি হওয়ার পর একে অপরকে জড়িয়েও ধরেন কীর্তি এবং দিলীপ। তবে বেলা একটু গড়াতেই বদলে গেল চিত্র। তৃণমূল কর্মীদের তুমুল বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হল বিজেপি প্রার্থীকে।
মন্তেশ্বরের তুল্লাবাজারে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দিলীপকে। তাঁকে দেখা মাত্রই জয় বাংলা, গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। বিজেপি প্রার্থীকে আটকানোরও চেষ্টা করেন তাঁরা। তবে তিনি এগোনোর চেষ্টা করায় বেঁধে যায় ধাক্কাধাক্কি।
এরপরেই দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ির কাঁচ ছুঁড়ে ভাঙা হয়। এই ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন একজন নিরাপত্তা কর্মী। দেখা যায়, বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। দিলীপ বলেন, ‘আমার প্রার্থীকে মেরে মুখ ফাটিয়েছে। বসতে দেয়নি এজেন্টকে। হিন্দু পাড়ার লোকেদের আসতে দিচ্ছে না। সেই জন্যই এসেছি আমি। আমি এর হেস্তনেস্ত করে যাব।’
সেই সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, গোটা ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। নিরাপত্তাকর্মীরা কোনও ভাবে তাঁকে ওখান থেকে বের করে নিয়ে যান। এদিকে এই ঘটনার জেরে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দিল্লি থেকে দফায় দফায় ফোন আসে। বিস্তারিত জানতে চাওয়ার পাশাপাশি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…