বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরি, যত সময় যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক চাপ। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। শিক্ষার্থীদের মধ্যেই যেমন আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। পড়ুয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মহননের প্রবণতা রুখতে রাজ্যের তরফ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা।
গত বছর সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ হয়েছিল। সেই রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮-২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৮ জন শিক্ষার্থী (Students) আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। সেই তালিকায় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, IIT, NIT, IIM সহ একাধিক নামী দামি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।
শুধু তাই নয়, উক্ত সময়কালের মধ্যে নানান এইমসে প্রায় আরও ১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ অবলম্বন করেছেন। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টে এবার দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রীর নামে ৭০ লক্ষের ‘এলাহী’ ফ্ল্যাট! রয়েছে ১৭ লক্ষের গাড়িও! জানেন কত সম্পত্তির মালিক সৌগত রায়?
বিশেষজ্ঞদের কথায়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিযোগিতা। সেই কম্পিটিশনের সঙ্গে নিজেদের উপযোগী করে তুলতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে নানান বোর্ডের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা।
মঙ্গলবার এই প্রেক্ষিতেই হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে মামলাকারী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটি আইন তৈরি করা হয়েছিল। মেন্টাল হেলথ কেয়ার নামের সেই আইনের ১০০ নং ধারায় আত্মহননের প্রবণতা রোখার একাধিক পদক্ষেপের বিষয়ে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই আইন প্রণয়নের জন্য সকল জেলাকে ৮৩ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার কথাও রয়েছে।
মামলাকারীর দাবি, এই আইন তৈরির পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৭ বছর। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও অবধি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই আইন প্রণয়ন করেনি। এই আইন প্রণয়ন করার দাবি এবং আত্মহননের প্রবণতা রুখতে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়ে এদিন হাই কোর্টে মামলা করা হয়েছে।