বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। চলছে সিবিআই তদন্ত। আর এরই মাঝে এবার সেই মামলায় (SSC Recruitment Scam) নয়া মোড়! গত এপ্রিল মাসে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে চাকরি যায় ২৫৭৫৩ জনের। যদিও পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে আপাতত সবার চাকরি বহাল রাখে। হাইকোর্টের রায়ে দেওয়া হয় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ। এখনও চূড়ান্ত রায় দেয় নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে এরই মাঝে বিরাট তথ্য সামনে আনল সিবিআই (CBI)।
এর আগে শুনানির দিন দ্বিতীয় ভাগে ৮ হাজার ৩২৪ জনের নিয়োগ অবৈধ বলে সুপ্রিম কোর্টে জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর আগে শুনানির প্রথম ভাগে ৭ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ অবৈধ বলে মেনে নিয়েছিল এসএসসি। এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে এও দাবি করেছিল, ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য সেই তালিকা তারা সুপ্রিম কোর্টে তুলে দিতে পারবে।
পরে জানা যায় অবৈধভাবে নিযুক্ত ৪৫৯৯ জনের তালিকা আদালতের হাতে তুলে দেয় এসএসসি। আর এবার খবর পাওয়া গেল, সিবিআই অযোগ্যদের তালিকার হদিশ পেয়েছে । এসএসসির সার্ভার থেকেই মিলেছে সমস্ত কিছু। সূত্রের খবর, দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীদের তালিকা পেয়েছে সিবিআই। কমিশন তরফে নায়সাকে একটি ইমেল মারফত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কাদের কাদের কত নম্বর বাড়াতে হবে। এবার তদন্ত চালিয়ে সেই ইমেল সহ তালিকাই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
সূত্রের খবর, এসএসসির সার্ভার থেকে ইতিমধ্যেই ‘অযোগ্য’দের নথি ও তথ্য উদ্ধার করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএসসি তরফে নায়সা কর্তা নীলাদ্রি দাস, নায়সার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়সার এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে ইমেল করা হয়েছিল। অন্যদিকে ‘মেধা তালিকায় নাম নেই’, ‘পরীক্ষায় বসেন নি’, ‘কোথাও নাম নেই, কীভাবে চাকরি পেলেন?’, ‘কাকে টাকা দিলেন?’, এবার এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইতিমধ্যেই ‘অযোগ্য’দের তলব শুরু করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: বাতিল হয়ে যাবে সায়নীর প্রার্থীপদ? হলফনামায় গরমিল, একই অর্থবর্ষে দু’রকম আয় তৃণমূল নেত্রীর
গত ১৩ মে তালিকা ধরে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল প্রায় ৪৩২৭ জন ‘অযোগ্য’কে। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ও বেতন পাওয়ার নথি-সহ এদিকে সিবিআই এর দফতর নিজাম প্যালেসে ডাকা হয় ‘অযোগ্য’দের। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নজিরবিহীন রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এক ধাক্কায় চাকরি যায় ২৫৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের রায়ের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। সেই মামলার শুনানিতে আপাতত স্বস্তিতে চাকরিহারারা। ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে পর্যন্ত চাকরি বহাল সকলের।