বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে ক্রমশ চড়ছে পারদ। স্টিং ভিডিও থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারির দাবিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই এলাকা। এরই মাঝে বুধবার রাতের অন্ধকারে মহিলা আন্দোলনকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের দিকে। যার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত (Calcutta High Court)।
সন্দেশখালির অন্যতম প্রতিবাদী এক মহিলাকে বাড়ি থেকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে গতকাল থেকে উত্তাপ বেড়েছে এলাকায়। সেই মামলার জরুরি শুনানির আবেদন এবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে, অপহরণের চেষ্টা করেছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী ও আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তবে এদিন সেই মামলার জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।
এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে বিষয়টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে জানাতে বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “ম্যাডাম, আমরা তদন্তকারী সংস্থা নয়। সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্ত করছে। ফলে আপনি দয়া করে ওখানে গিয়েই আপনার অভিযোগ জানান।”
উত্তপ্ত সন্দেশখালির আতঙ্কিত মহিলাদের সাহস জোগাতে বুধবার দুপুরেই সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সন্দেশখালির মহিলারা তার সঙ্গে দেখা করে কথাতা বলেন। সেখানে থাকা এক প্রতিবাদী মহিলাকেই গতকাল রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ।
এদিন টিব্রেওয়াল তার আবেদনে জানিয়েছেন, “সন্দেশখালিতে মহিলারা রাতে বাড়িতে ঘুমোতে পারছেন না। মাঠেঘাটে লুকিয়ে থাকছেন। রাতে মহিলাদের বাড়িতে হানা দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এমন একজনকে গতকাল রাতে হাত বেঁধে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন:‘দীঘায় আরও বড় একটা বানাচ্ছি’, পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে ‘বেফাঁস’ মমতা! জোর আক্রমণ শুভেন্দুর
পাল্টা সরকারি আইনজীবী বলেন, “সংশ্লিষ্ট এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করছেন বিজেপির আইনজীবী নিজে। যখনই তিনি সন্দেশখালি যান তখনই এই ধরনের সমস্যা হয়।” আপাতত এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না বলেই জানিয়েছে উচ্চ আদালত।