বাংলা হান্ট ডেস্ক: নির্বাচনী হাওয়ায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি (Bengal Politics)। ২০২৪-র এই লোকসভা নির্বাচনকে (Loksabha Election 2024) পাখির চোখ করেই একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন বিভিন্ন দলের নেতা-মন্ত্রীরা। নির্বাচনে জেতার তাগিদেই একের পর এক প্রতিশ্রুতিতে কার্যত কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড় আমজনতার।
আর প্রত্যেক বারের মতো এবারও বাংলায় নির্বাচনের মধ্যেই উঠে এল শিল্পায়নের কথা। এবার সিঙ্গুরে (Singur) শিল্পায়নের সম্ভাবনাকে হাতিয়ার করেই ভোটের ময়দানে সুর চড়ালেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)।
এদিন ভোটের প্রচারের ফাঁকেই বিজেপির অভিনেত্রী-সাংসদ লকেট বলেছেন, ‘শিল্পায়ন করতেই হবে, রাজ্যের যুবকদের কাজ দিতে প্রয়োজন শিল্পায়ন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি মূলত হাতিয়ার করেছেন বিগত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতাকেই। সেকথা উল্লেখ করেই এদিন হুগলির প্রার্থীর আশ্বাস,’দেখবেন এই সিঙ্গুরেই শিল্প হবে। পড়ে থাকা জমিতে আলোচনার মাধ্যমে ফের শিল্পায়ন দেখবেন সাধারণ মানুষ।’
শুধু তাই নয় বেশ জোরের সাথেই এদিন লকেট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরে নাকি শিল্পায়ন আনবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি (PM Narendra Modi)। সেই সাথে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি ‘রাজ্যে বিজেপি ৩০ লোকসভা আসন জিতবে। ২০২৬ পর্যন্ত মমতা সরকার ক্ষমতায় থাকবে না হয়তো। তখন সেই টাটাকেই এই সিঙ্গুরে ফেরাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি’।
আরও পড়ুন: BJP-র সঙ্গ ত্যাগ মোস্ট লিডিং হিরোর! প্রেমিকা কৌশানির মতোই তৃণমূলে ‘এন্ট্রি’ বনির
যদিও লকেটের এই প্রতিশ্রুতিতে যে মোটেই চিঁড়ে ভেজার নয়, তা একপ্রকার নিশ্চিত প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এদিন বিজেপি সংসদের সময়ে ‘অনুন্নয়ন’-র খোঁচা দিয়েই লকেটের উদ্দেশ্যে এদিন প্রতিদ্বন্দ্বি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন এতদিন কি করেছেন লকেট? কোথায় ছিলেন তিনি? কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকলেও তিনি কেন কোন চেষ্টাই করেননি?
যদিও সিঙ্গুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিল্প হলে এই অঞ্চলে অনেক কিছুই পাল্টে যেত। সিঙ্গুরে টাটার কারখানা হলে চাষের জমিতে যে ধ্বংসাবশেষ তৈরী হয়েছে তা অন্তত দেখতে হত না। তবে সেইসাথে অনেকেই বলছেন জমি অধিগ্রহণেও যে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছিল, একথাও কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না।