৯৩% কাজ শেষ! সম্পূর্ণ হলেই বদলে যাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের চেহারাটাই, ভোটের মধ্যেই বড় খবর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ এবং ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ‘ক্যাপিটাল কানেক্টিভিটি’ প্রকল্পের অধীনে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে চলছে একাধিক রেল প্রকল্প। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ রেলওয়ে বোর্ডের পরিকাঠামো সদস্য অনিল কুমার খান্ডেলওয়াল পরিদর্শন করেন ১৩ই মে থেকে ১৫ই মে পর্যন্ত।

এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন প্রকল্প, জিরিবাম-ইম্ফল নতুন লাইন প্রকল্প এবং আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক রেল সংযোগ প্রকল্প। অনিল কুমার খান্ডেলওয়াল গত ১৩ তারিখ ভৈরবী-সাইরাং নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মিজোরামের সাথে দেশের অন্যান্য প্রান্তের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও স্থিতিশীল হবে।

আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত চমক SBI’র! বাড়ল এতটা সুদের হার! এবার FD’তে টাকা রাখলেই হয়ে যাবেন মালামাল

রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের প্রায় ৯৩% কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মিজোরামে ৫১.৩৮ কিমি রেলওয়ে ট্র্যাক স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই রেল প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৫৫টি মেজর ব্রিজ ও ৮৭টি মাইনোর ব্রিজ। এই প্রকল্পের টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ১২৮৫৩ মিটার। মোট চারটি স্টেশন রয়েছে এই রেল প্রকল্পে।

আরোও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টে বিরাট রদবদল! এক লহমায় বদলে গেল ১২ পড়ুয়ার জীবন!

রেল বোর্ডের তরফে জিরিবাম-ইম্ফল নতুন লাইন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করা হয় গত ১৪ তারিখ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মণিপুরকে দেশের অন্যান্য প্রান্তের সাথে স্থিতিশীল রেল ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করা হচ্ছে। ১১১ কিমি লম্বা এই প্রকল্পে পড়ছে ৫২টি টানেল, ১১টি মেজর ব্রিজ, ১২৯টি মাইনোর ব্রিজ। বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলওয়ে ব্রিজের স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে এই প্রকল্পে।

এই স্তম্ভের উচ্চতা ১৪১মিটার। জানা গেছে এই প্রকল্পের ৭৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন পার্বত্য রাজ্য মিজোরাম ও মণিপুরের মানুষ। এই প্রকল্পগুলি শেষ হলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন এক উচ্চতা স্পর্শ করবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলবে এই প্রকল্পগুলি।

railway track 1602594531

পাশাপাশি গত ১৫ তারিখ রেল বোর্ডের সদস্য পরিদর্শন করেন আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক রেল সংযোগী প্রকল্পও। নিশ্চিন্তিপুর (ত্রিপুরা) ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউরা স্টেশনকে সংযুক্ত করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য তৈরি হবে ডুয়াল গজ স্টেশন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর